চট্টগ্রাম: নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল ও অনুমোদনহীন আয়ুর্বেদিক বিক্রির দায়ে চারজনকে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার ওষুধ প্রশাসনের এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রাকিব হাসান বাংলানিউজকে বলেন, সাজাপ্রাপ্তরা সকলেই ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, হারবাল ইত্যাদি নাম দিয়ে ভূয়া ওষুধ বিক্রি করে আসছে। তাদের প্রতারনা থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতেই এ অভিযান চালানো হয়।
সকালে নগরীর ষোলশহর এলাকায় আবু সিনা ইউনানী রিসার্স সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান চলাকালে দোকানে কোন হাকিমকে পাওয়া যায়নি।
দোকানে উপস্থিত বিক্রেতা ওমর ফারুক ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্বীকার করেন, হাকিম না থাকলে সে নিজেই রোগী দেখে ঔষধ দিয়ে থাকেন।
ভ্রাম্যমান আদালত এ অপরাধকে আমলে নিয়ে ড্রাগ এ্যাক্ট ১৯৪০ অনুযায়ী তাকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন।
পরে, নগরীর মুরাদপুর এলাকার মর্ডান আয়ুর্বেদিক অ্যান্ড ইউনানী চিকিৎসালয়ে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা এবং চিকিৎসার নামে অস্বাস্থ্যকর ওষুধ বিক্রির দায়ে প্রতিষ্ঠানের হাকিম মো. নাসির উদ্দিনকে এক মাস এবং সহকারী মো. শাকির হোসেনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন।
দুপুরে নগরীর অক্সিজেন এলাকার চিটাগাং হারবাল নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া ভূয়া কোম্পানির ওষুধ বিক্রির দায়ে প্রতিষ্ঠানের হাকিম দীলিপ কুমার তালুকদারকে এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়াও, একইসময় আরও বেশ কয়েকটি আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালালেও কারখানাগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযান চলাকালে অনেকেই দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিব হাসান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গ্রাহকরা সচেতন হলে এ ধরণের প্রতারণা ব্যবসা টিকে থাকতো না। চিকিৎসা করাতে গিয়ে যেন মানুষ প্রতারিত না হয় সে নিশ্চয়তা দিতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৪