চট্টগ্রাম: নগরীর বাকলিয়া থানা এলাকায় একজনকে খুন করে পালিয়ে গিয়েছিল দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী আবুল (২৫)। হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর নগরীর কোতয়ালি থানা এলাকায় আরেকটি ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়ে আবুল।
সম্প্রতি বাকলিয়া থানা পুলিশ কারাগারে থাকা আবুলের সঠিক পরিচয় উদঘাটন করে তাকে হত্যা মামলায় রিমাণ্ডে নেয়।
নগর পুলিশের কোতয়ালি জোনের সহকারি কমিশনার শাহ মো.আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, বাকলিয়া থানার হত্যা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আমরা কোনভাবেই আবুলের সন্ধান পাচ্ছিলাম না। আমরা বিভ্রান্তিতে পড়ে গিয়েছিলাম। পরে আবুলের বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে জানতে পারি, সে আরেকটি মামলায় কারাগারে আছে। কারাগারে তাকে শনাক্ত করে পরে হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।
বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বাংলানিউজকে জানান, ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর বাকলিয়া থানার চাক্তাই হাজী আমিন আলী রোডে আকতার হোসেন নামে ঢাকার এক ব্যবসায়ি ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে গোলাম মোস্তফা নামে এক পথচারী ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়।
এসময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে। পরে তার জবানবন্দিতে আবুলের নাম প্রকাশ পায়। পুলিশকে আবুলকে বিভিন্নভাবে খুঁজেও সন্ধান পেতে ব্যর্থ হয়।
২০১৩ সালের ৩১ নভেম্বর গোলাম মোস্তফার ছেলে ইব্রাহিম বাদি হয়ে বাকলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ৭ সেপ্টেম্বর নগরীর আন্দরকিল্লায় ছিনতাই করতে গিয়ে কোতয়ালি থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় আবুল। মামলায় তাকে মো.সজীব হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সম্প্রতি কারাগারে আবুলকে শনাক্ত করার পর বাকলিয়া থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাতদিনের রিমাণ্ডের আবেদন জানায়। আদালতের আদেশে বাকলিয়া থানা পুলিশ গত ৬ ডিসেম্বর তাকে চারদিনের রিমাণ্ডে নেয়।
রিমাণ্ডে আবুল হত্যাকান্ডের বিষয়ে পুলিশকে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে। এরপর মঙ্গলবার আদালতেও জবানবন্দি দিয়েছে আবুল। এর ফলে এক বছরেরও বেশি সময় পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যকাণ্ডের জট খুলেছে বলে জানিয়েছেন ওসি মোহাম্মদ মহসিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৪