চট্টগ্রাম: নগরীর আদালত পাড়ায় বস্তাভর্তি প্রায় ৫৮ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত শেষ হয়েছে।
শিগগিরই এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তে নিয়োজিত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবুল হোসেন।
মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাপ্রত্যাশীসহ প্রায় ৩০ জন ব্যক্তির জবানবন্দী গ্রহণ ও গণশুনানী শেষে প্রতিবেদন প্রস্তুত হয়েছে। জমা দিতে আরও এক সপ্তাহ’র মতো সময় প্রয়োজন।
তদন্ত প্রতিবেদনে কাউকে সুনির্দিষ্টভাবে দায়ী করা হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়ে আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবেদনে আমরা এলএ শাখার আধুনিকায়ন, ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় অনিয়ম বন্ধে কিছু সুপারিশ করেছি। তদন্তের স্বার্থে প্রতিবেদন জমা না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না। ’
গত ১৪ অক্টোবর সকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবন বোমায় উড়িয়ে দেয়ার হুমকির তথ্য পায় পুলিশ। এ নিয়ে আদালত জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আদালতে একাধিক চেকপোস্ট বসানো হয়।
ওইদিন দুপুরে চট্টগ্রাম আদালতের অ্যানেক্স ভবনের সামনের সড়কে পুলিশের চেকপোস্টে বস্তাভর্তি ৫৭ লাখ ৯২ হাজার টাকাসহ ইলিয়াস নামে এক ব্যক্তি আটক হন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা এলাকায়।
ওই সময় টাকাগুলো এলএ শাখার এক কর্মকর্তার কাছে ঘুষের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠলে ১৫ আগস্ট এ ঘটনার তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবুল হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কয়েকদফা সময় বাড়িয়ে এ প্রতিবেদন প্রস্তুত হলো।
এদিকে, টাকা উদ্ধারের ঘটনার পর আটক ইলিয়াসের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে, দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেয়। ইতোমধ্যে ইলিয়াসকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৪