চট্টগ্রাম: বেগম খালেদা জিয়া রাতের অন্ধকারে কেরাণীদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে চান বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন এ মন্ত্রী।
বুধবার বিকেলে বিজয় মেলার মূল পর্ব মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব মন্তব্য করেছেন।
নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম চত্বরে স্থাপিত অস্থায়ী বিজয় মঞ্চে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ছোট ছোট পদের কেরাণীদের সঙ্গে বসে ষড়যন্ত্র করে লাভ হবেনা। রাতের আঁধারে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসা যাবেনা। বেগম জিয়াকে ক্ষমতায় আসতে হবে নির্বাচনের মাধ্যমে।
মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অন্ধকারে বসে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করতে চায়। এজন্য উনি চুপি চুপি ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় হচ্ছে। এমনকি একজনের ফাঁসিও হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই আমরা বাংলাদেশে জঙ্গী খতম করতে সক্ষম হয়েছি। দেশে এখন জঙ্গীবাদের অবসান হয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসবাদ উৎখাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কোন ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামানো যাবেনা।
এর আগে স্টেডিয়াম চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়শিখা প্রজ্বলন এবং বেলুন ওড়ানোর মধ্য দিয়ে এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। এসময় এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ পরিষদের সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী যখন বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন করে একজন মুক্তিযোদ্ধার হাতে তুলে দেন তখন ব্যান্ডের তালে আর জয় বাংলা শ্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।
এরপর বিজয় মঞ্চে উদ্বোধন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের প্রথম মহাসচিব আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী। বিজয় মেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন দ্বিতীয় মহাসচিব মো.ইউনূস।
বিজয় মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ড.ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিটের কমান্ডার মো.সাহাবউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা অমল মিত্র, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান বদিউল আলম, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী ও রেখা আলম চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর শহীদুল আলম, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান তারেক ও শেখ মহিউদ্দিন বাবু, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজম রণিসহ পরিষদের বিভিন্ন স্কোয়াডের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৪