চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বুধবার ভোর থেকেই অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে।
কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) দাবি, আশুগঞ্জ গ্যাস কমপ্রেসারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গ্রাহকরা দুর্ভোগে পড়েছেন। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আগামীকাল বৃহষ্পতিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
নগরীর জামালখান এলাকার গৃহিনী শারমিন আক্তার বাংলানিউজকে জানান, ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর দেখেন গ্যাস নেই। ফলে সারাদিন বাসায় চুলা জ্বলেনি।
“বাচ্চাদের পরীক্ষা চলছে। হোটেল থেকে খাবার কিনে এনে তাদের খাইয়েছি। ”
আন্দরকিল্লাহ এলাকার জোবাইদা আক্তার বলেন, এমনিতেই প্রায়ই গ্যাস থাকে না। তাই আগে থেকেই কেরোসিনের স্টোভ কিনে রেখেছিলাম। সেটা দিয়েই রান্না করেছি।
বুধবার বিকাল পাঁচটার দিকে কেজিডিসিএল’র উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিস্ট্রিবিউশন) রেজাউল করিম বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার রাত সোয়া দুইটার দিকে আশুগঞ্জ কমপ্রেসারটি ফেল করে। এরই মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটির সমাধান হয়েছে। শিগগিরই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
কেজিডিসিএল সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৫০০ থেকে ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে সরবরাহ করা হয় মাত্র ২০০ থেকে ২২০ মিলিয়ন ঘনফুট।
দীর্ঘদিন ধরেই চট্টগ্রামে গ্যাসের এই সংকট অব্যাহত রয়েছে। রেশনিং করেও গ্রাহকদের চাহিদা সামাল দিতে পারছে না কেজিডিসিএল।
গ্যাসের অভাবে শিল্পকারখানায় প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে হলিডে স্ট্যাগারিং‘র (এলকাভিত্তিক পৃথক ছুটির দিন নির্ধারণ) পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র (ইউনিট-১) ও শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সারখানা সিইউএফএল’র উৎপাদন।
শীত মৌসুমে এ সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা কেজিডিসিএল কর্মকর্তাদের।
তারা জানান, শীত মৌসুমে তাপমাত্র হ্রাস পেলে উচ্চচাপের লাইন ছাড়াও নিম্নচাপের লাইনগুলোতেও গণহারে গ্যাসের চাপ অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যায়। যার কারণে গ্রাহকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
কেজিডিসিএলের আবাসিক গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫০০। এছাড়া, প্রায় এক হাজার শিল্প ও আড়াই হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮46 ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৪