চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আবারও পে অর্ডার জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগে দরপত্রের সঙ্গে এসব জাল পে অর্ডার জমা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এর আগে পে অর্ডার জালিয়াতির ঘটনায় কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্ত ও মামলা করে দায় সেরেছিল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ রয়েছে, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের যোগসাজশে এ জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে।
করপোরেশন সূত্র জানায়, গত ২০ নভেম্বর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির(এডিপি) আওতায় নগরীর ১৭, ৩৫, ১৬ ও ১৫ নং ওয়ার্ডে ৪টি উন্নয়ন কাজের দরপত্র আহবান করে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ। বৃহস্পতিবার ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন। এ দিন সাহাবউদ্দিন নামে এক ঠিকাদার ৫লাখ টাকা জাল পে অর্ডার জমা দেন বলে অভিযোগ উঠে। এছাড়া সাইফুল নামে আরেক ঠিকাদার আড়াই লাখ টাকা মূল্যের চেক জমা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও দরপত্রের সঙ্গে চেক জমা দেওয়ার কোন নিয়ম নেই।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন,‘কয়েকজন ঠিকাদার জাল পে অর্ডার জমা দিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। রোববার পে অর্ডারগুলো ব্যাংকে পাঠিয়ে যাচাই করা হবে। জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
এর আগে ২০১১ সালে ২৮ এপ্রিল ১২টি জাল পে অর্ডার জব্দ করা হয়। ২০১৪ সালে ১৩ মে তিনটি, একই বছরের ২৪ নভেম্বর ১৩টি জাল পে অর্ডার জব্দ করে সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ।
তিনটি পে অর্ডার জালিয়াতির ঘটনায় তিন প্রতিষ্ঠানকে কালোতালিকাভুক্তি ও ১৩টি পে অর্ডার জালিয়াতির ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা করে দায় সেরেছিল করপোরেশন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ঠিকাদার বাংলানিউজকে বলেন,‘প্রকৌশলীদের সঙ্গে এসব জালিয়াত চক্রের ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। জাল পে অর্ডার জমা দিয়ে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। করপোরেশন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ধরণের ঘটনা বারবার ঘটছে। যেসব প্রতিষ্ঠান কালোতালিকাভুক্ত করা হয় সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ঠিকাদারি করছে এবং জালিয়াতি করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত না করে ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করা হলে এ জালিয়াতি বন্ধ হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৪