চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) এর সনদ না থাকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের খেলোয়াড় কোটায় ৪৬টি আসন খালি রয়ে গেছে। শনিবার শুধুমাত্র বিএকএসপি থেকে এইচএসসি পাশ করা ৯জন শিক্ষার্থীকে ফিল্ড টেস্ট এ অংশ নিতে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিকেএসপির সনদ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা খোলোয়াড়রা ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভর্তির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর খেলোয়াড় কোটায় মোট আসন ৫৫টি।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে খেলোয়ার কোটায় আবেদনকারীদের ফিল্ড টেস্টে বিকেএসপির সনদধারী ৯জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাই আরও ৪৬টি আসন খালি রয়ে যায়। মাঠে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সনদধারী খেলোয়াড়রা উপস্থিত থাকলেও তাদের ফিল্ড টেস্ট নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ বাংলানিউজকে বলেন,ভর্তি নির্দেশিকায় বিকেএসপি থেকে এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র খেলোয়াড় কোটা পূরণ করার জন্য বলা হয়েছিল। সে অনুযায়ী নয়জন শিক্ষার্থী মাঠে তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষা দিয়েছে।
তাহলে কি বাকি ৪৬টি আসন খালি থাকবে এমন প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, খালির কথা আসছে কেন। যারা আমাদের শর্ত পূরণ করেছে তারাই শুধু ভর্তি হতে পারবে। সাধারণ আসনগুলো আগেই পূরণ হয়ে গেছে।
এদিকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে আসা খেলোয়াড়রা বিকেএসপির শর্ত বাতিলের দাবিতে দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানবন্ধন করে। এ সময় তারা উপাচার্য বরাবরে স্মারকলিপিও প্রদান করে।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সনদধারী খেলোয়াড় ইরফান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শুধুমাত্র বিকেএসপির খেলোয়াড়রাই্ কি খেলাধুলা করে? দেশের স্বীকৃত বাকি সব ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানে খেলা শেখানো হয়না? কর্তৃপক্ষের উচিত বৈষম্যমূলক এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সকল খেলোয়াড়ের মধ্য থেকে যোগ্যদের বাছাই করে তাদের উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহনের অধিকার নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪।