চট্টগ্রাম: দুই গ্রুপের সংর্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক কর্মীর মৃত্যুর পর শাহ জালাল হলে তল্লাশি চালিয়ে ২৭জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত শাহজালাল হলের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হাটহাজারী থানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) শহিদুল্লাহ।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, শাহ জালাল হলের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে ২৭জনকে আটক করা হয়েছে। বগি ভিত্তিক সংগঠন ভিএক্স গ্রুপের এসব সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে।
শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তাপস পাল নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন আলম, উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন রিমন ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন আহত হয়েছেন।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রোববার সকালে শাহ আমানত হলের সামনে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন চুজ ফ্রেন্ড উইথ কেয়ার(সিএফসি) ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস(ভিএক্স) এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাপস সিএফসি গ্রুপের কর্মী।
বাংলাদেশ সময়:১৪০৫ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৪