চট্টগ্রাম: নগরীতে বোমা মেরে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় আরও দু’জন ডাকাত ঢাকার খিলক্ষেত থানায় গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া দু’জন হল, হাসান ও মানিক।
লুট করা স্বর্ণ ওই এলাকায় বিক্রি করতে গিয়ে দু’জন ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম।
রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে খিলক্ষেত থানায় নেয়া হয়েছে।
ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, ডাকাতির সঙ্গে দু’টি গ্রুপ জড়িত ছিল। একটির নেতৃত্বে ছিল ইমতিয়াজ বাবুল, আরেকটির নেতৃত্বে ছিল হাসান। বাবুলকে ঘটনার পরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাসানও গ্রেপ্তার হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া হাসান ও মানিককে চট্টগ্রামে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
শনিবার রাতে নগরীর আলকরণের প্রবেশমুখে হাজী দানু মিয়া সওদাগরের মালিকানাধীন অপরুপা জুয়েলার্স এবং জুয়েলারি সমিতির সহ সভাপতি রতন ধরের মালিকানাধীন গিণি গোল্ড জুয়েলার্সে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া বোমায় আহত সৈয়দ (৪৫) নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন আরও ৯ জন।
ডাকাতি ও বোমা হামলার ঘটনায় নগরীর কোতয়ালি থানায় ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন গিণি গোল্ড জুয়েলার্সের মালিক রূপন কান্তি ধর।
মামলার এজাহারে তিনি দাবি করেছেন, অপরুপা জুয়েলার্স ও গিণি গোল্ড জুয়েলার্স থেকে চার লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের মোট সাড়ে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে। এর মধ্যে চার ভরি ওজনের চারটি গলার হার, দুই ভরি ওজনের দুই জোড়া কানের দুলসহ বিভিন্ন স্বর্ণালংকার আছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
বোমা বিস্ফোরণে আহত অবস্থায় থাকা মনির ও কালামকে ঘটনার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইমতিয়াজ বাবুল পালানোর পথে পাহাড়তলী থানায় পুলিশের চেকপোস্টে গ্রেপ্তার হয়।
হাসান ও মানিককে গ্রেপ্তারের পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচ ডাকাতকেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হল পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৫,২০১৪
** মুঠোফোনে পরিকল্পনা, অস্ত্র-বোমা আসে ঢাকা থেকে
** বোমায় আহত একজনের মৃত্যু
** চট্টগ্রামে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি, বোমায় আহত ১০
** স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি মামলার হোতা বাবুল রিমাণ্ডে
** সাড়ে ৪ লক্ষ টাকার অলংকার লুট, দু’মামলা