চট্টগ্রাম: ইসকন মন্দির, গির্জা, মসজিদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে একই চক্র বিভিন্ন নামে হামলা করে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) চট্টগ্রাম কো-রিজিওন্যাল সেক্রেটারি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।
বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিশ্বের ১৪০টি দেশে ইসকন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১০ ডিসেম্বর রাতে ইসকনের কাহারোল থানার জয়ানন্দ মন্দিরে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত গুলি ও বোমা হামলা চালায়। এ ঘটনায় বোচাগঞ্জ উপজেলার ইশানিয়া গ্রামের বিভূতি চন্দ্র রায়ের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র রায় (৪৫) ও ডাবোর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের দ্বিজেন চন্দ্র রায়ের ছেলে মিঠুন চন্দ্র রায় (২৫) গুলিবিদ্ধ হন। হামলা চালিয়ে পালানোর সময় শরিফুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। শরিফুল আদালতে জবানবন্দি দেয়, সে একজন জেএমবি সদস্য এবং ১৮ নভেম্বর ধর্মযাজককে আক্রমণে সে-ও অংশ নিয়েছিল।
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ইসকন চট্টগ্রামের রিজিওন্যাল সেক্রেটারি ভক্তিপ্রিয়ম গদাধর গোস্বামী মহারাজ, পুণ্ডরীক বিদ্যানিধি স্মৃতি সংসদের সভাপতি প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ, হিন্দু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দীলিপ মজুমদার, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তপন কান্তি দাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিদ্যালাল শীল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মহানগর সভাপতি প্রকৌশলী পরিমল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আশীষ কিরণ দাশ প্রমুখ।
প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারকে অস্থিতিশীল করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার চক্রান্তের অংশ হিসেবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হচ্ছে। তারা হয়তো ভাবছে ইসকন আন্তর্জাতিক সংগঠন, ইসকনের ওপর হামলা করলে সারা বিশ্বে প্রতিক্রিয়া হবে।
তিনি বলেন, শুধু ইসকন নয়, গির্জা, মসজিদ, লালনের গানের অনুষ্ঠানেও হামলা হয়েছে। এর পেছনে একটি সংগঠন বা চক্র জড়িত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
এআর/টিসি