ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘মাই সয়েল মাই সোল’

নেপালের বুকে যেন একখণ্ড চট্টগ্রাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
নেপালের বুকে যেন একখণ্ড চট্টগ্রাম ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: নেপালে প্রদর্শিত হচ্ছে চট্টগ্রামের ২২ আলোকচিত্রীর ৪৪টি অালোকচিত্র।   এসব আলোকচিত্রে স্থান পেয়েছে চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি।

  পাহাড়, নদী আর সাগরের মিলনকেন্দ্রের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যও তুলে ধরা হয়েছে পরম মমতায়।   বন্দরনগরীর ব্যবসায়িক ঐতিহ্য আর সম্ভবনার কথাও উঠে এসেছে এসব আলোকচিত্রে।
 

নেপালের কাঠমাণ্ডুর পাটান মিউজিয়ামে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে উদ্বোধন হয়েছে আর্ন্তজাতিক এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী।   নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস দুই দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।  

চট্টগ্রাম ফটোসাংবাদিকদের সংগঠন সিপিজেএ’র সাড়া জাগানো প্রদর্শনী ‘মাই সয়েল মাই সোল’ চট্টগ্রাম, ভারতের আগরতলা হয়ে এখন নেপালে প্রদর্শিত হচ্ছে।   শুরুর দিন থেকেই ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এই প্রদর্শনী।  

উদ্বোধনী বক্তব্যে নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস বলেন, চট্টগ্রামের সাথে নেপালীদের জীবনযাত্রা অনেকটা মিল থাকায় ছবি গুলো দেখে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে।   পাঠান দরবার একটি ঐতিহাসিক স্থান হওয়ার এখানে প্রতিদিন দেশী-বিদেশী হাজার হাজার পর্যটক আসে।   তারাও ছবিগুলো দেখে বাংলাদেশের চট্টগ্রামকে দেখতে ও বুঝতে পারবে এবং জানাতে পারবে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ব্যবসা ও সামাজিক অবস্থান।   ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশের সম্ভাবনাগুলো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিজেএ) এ আয়োজন প্রশংসার দাবি রাখে।   আর এ কাজে নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন যুক্ত হতে পেরে গর্বিত ও আনন্দিত।

তিনি আরও বলেন, আমার জন্মস্থান চট্টগ্রাম।   শৈশবে লেখাপড়াও করেছি চট্টগ্রামে।   তাই চট্টগ্রামের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক।     ছবিগুলো দেখে আমি অনেকটা আবেগতাড়িত হয়েছি।   ২০১৬ সালকে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেছে।   এই সময়ে প্রদর্শনিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।  

ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রদর্শনী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়োজনের জন্য চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনকে অনুরোধ করেন তিনি।

নেপাল থেকে টেলিফোনে সিপিজেএ’র প্রদর্শনী সম্পাদক অনুরূপ টিটু বাংলানিউজকে জানান, প্রদর্শনী উদ্বোধনের শুরুতে সিপিজেএ’র পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে ক্রেষ্ট তুলে দেন সভাপতি দিদারুল আলম।   উত্তরীয় পরিয়ে দেন প্রদর্শনী সম্পাদক অনুরুপ টিটু ও  সুভ্যেনির তুলে দেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিপুল কুমার দে।   উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সঞ্চলনা করেন সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাঠম‍াণ্ডু ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ খারকি।   

এস আলম গ্রুপ, আবুল খায়ের গ্রুপ, প্রাইম ডিস্ট্রিবিউশন গ্রুপ, ফোর এইচ গ্রুপ, রয়েল সিমেন্ট, ইম্পালস প্রপার্টিজ, রুপালী ব্যাংক ও আম্বিয়া হোল্ডিংস এই প্রদর্শনীতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে।  

চট্টগ্রাম ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ২২ ডিসেম্বর কাঠমাণ্ডুতে গিয়ে পৌঁছে।    ২৮ ডিসেম্বর তারা দেশে ফিরবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৫
আরডিজি/টিসি  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।