ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘শিশুর সবচেয়ে আনন্দের বিষয় ছবি আঁকা’

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
‘শিশুর সবচেয়ে আনন্দের বিষয় ছবি আঁকা’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ‘শিশুর মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো ছবি আঁকা। বাচ্চারা মনের খুশিতে আঁকার মাধ্যমে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে।

শিশুদের সবচেয়ে আনন্দের ও প্রিয় বিষয় এটি। তবে ১২ বছর বয়সের আগে শিশুদের কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো উচিত নয়।


সুপ্রভাত বাংলাদেশ’র ‘এগিয়ে চলো চট্টগ্রাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে শনিবার নগরীর ডিসি হিলে অনুষ্ঠিত শিশু উৎসবে বরেণ্য শিল্পী আবুল মনসুর এসব কথা বলেন।

দিনব্যাপী এ উৎসবে ছিল চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ছড়া, নাটক, নাচ, মূকাভিনয়ের মতো জমজমাট আয়োজন। সকালে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ১০৮ শিশু। বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন শিল্পী আবুল মনসুর, খাজা কাইয়ুম ও সুপ্রভাত বাংলাদেশ’র সম্পাদক রুশো মাহমুদ। সঞ্চালনা করেন সুপ্রভাত বাংলাদেশের সহযোগী সম্পাদক কবি কামরুল হাসান বাদল।

চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার ক গ্রুপের (প্রথম-চতুর্থ শ্রেণি বিষয় ছিল ইচ্ছেমতো। খ গ্রুপের (পঞ্চম-সপ্তম শ্রেণি) বিষয় আমার দেশ ও গ গ্রুপ (অষ্টম-দশম শ্রেণি) ভোর। বিকালে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। প্রতিযোগিতায় প্রথম-তৃতীয় স্থান অধিকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।

এ সময় ভূমি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চট্টগ্রাম নগরী ঐতিহ্যগতভাবে অনেক সুন্দর। কিন্তু নানা কারণে এর সৌন্দর্য হারিয়ে গেছে। আমরা যারা চট্টগ্রামে থাকি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে এর প্রতি। সুপ্রভাত বাংলাদেশও তাদের কর্মসূচির মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করছে। ’

শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীটা অনেক সুন্দর। আমরা চিরদিন থাকবো না। পরবর্তী প্রজন্ম এই পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সুস্থ চিন্তাধারার মাধ্যমে আমরা এই পৃথিবীকে সুন্দর ভুবন হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। ’

এরপর সুপ্রভাত বাংলাদেশ’র সম্পাদক রুশো মাহমুদ অংশগ্রহণকারী ও উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

বিকেলের আয়োজনে পুরো ডিসি হিল প্রাঙ্গণে ছিল শিশুদের হইচই। শুধু অংশগ্রহণকারীই নয়, উৎসব উপভোগ করতে এসেছিল অনেক শিশু। মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে বোধন আবৃত্তি পরিষদ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন ও শব্দরূপ বাচিক পাঠশালার শিশুশিল্পীরা। বোধনের শিল্পীরা পরিবেশন করে ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’। পরিচালনায় ছিলেন আবৃত্তি শিল্পী হোসনে আরা তারিন। প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের শিল্পীরা পরিবেশন করে ‘ভাবি যাহা মনে’। পরিচালনায় ছিলেন বিশ্বজিৎ পাল ও কঙ্কন দাশ। শিল্পী প্রবীর পালের পরিচালনায় শব্দরূপ বাচিক পাঠশালা পরিবেশন করে ‘হিংসুটি’।

আবৃত্তির পর শিশুদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় কিডস কালচারাল ইনস্টিটিউটের নাটক ‘অদ্ভুত ভূত’। নাচ, গান ও অভিনয়ের সমন্বয়ে দুর্দান্ত পরিবেশন করে শিশুশিল্পীরা। এরপর ‘অনাদিকল্প’ মূকাভিনয় পরিবেশন করে। তাদের দুটি পরিবেশনার নাম ‘দ্য ট্রি’ ও ‘ডাস্টবিন’। সবশেষে মূল আকর্ষণ ছিল রাজীব বসাকের মনোমুগ্ধকর জাদু।

‘এগিয়ে চলো চট্টগ্রাম’ অনুষ্ঠানমালা আয়োজনে সহযোগিতায় রয়েছে র‌্যাডিসন ব্লু চিটাগং বে ভিউ, সাইফ পাওয়ারটেক, হুন্ডাই, স্যাংইয়ং, নিশান, বিএসআরএম, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, একেএস স্টিল, হাবিব গ্রুপ, কেডিএস গ্রুপ, পিএইচপি ফ্যামিলি, এস আলম গ্রুপ, সিটিসেল, প্যাসিফিক জিনস লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, পেডরোলো, ফ্রেশ, কনফিডেন্স সিমেন্ট, এশিয়ান অ্যাপারেলস এবং টিকে গ্রুপ।

পুরস্কার বিজয়ীরা: ক গ্রুপে বিজয়ী যথাক্রমে সৈয়দা সুমাইয়া আফরোজ অহী, অনন্ত প্রণয় দে মুগ্ধ, জাবিরুল ইসলাম, শ্রেয়া দেওয়ানজী, সাদিয়া রহমান ফারিহা, সৌপ্তিক দেবনাথ, সঞ্চিতা ভৌমিক স্বর্ণা, তাসিন ইসলাম, তাওসিফ মাহমুদ ও শুভম চৌধুরী।
খ গ্রুপে অদ্রি দাশ, সাজ্জাতুল ইসলাম, সাজিয়া আফরিন প্রাপ্তি, মর্জিয়া রহমান, তাসফিয়া তাহসীন, অনিরুদ্ধ দেওয়ানজী, মনীষা দ্বিপান্বিতা, সামিহা খন্দকার, হৃদিকা ধর ও আইরিন সুলতানা লিজা।

গ গ্রুপে চন্দ্রিমা ধর, মো. সরওয়ার জামাল তাসিন, অরুনদিতা ভট্টাচার্য, চন্দ্রিমা চৌধুরী, জারিন তাসনিম, অরিত্র দে অর্ক, জারিন তাসনিম (২), কান্তা ভট্টাচার্য্য, আদিবা ফাইরুজ ও সৈমন্তি চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।