ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শুরু হচ্ছে ক্যাপিটাল ড্রেজিং, চালু হবে ৪ লাইটার জেটি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
শুরু হচ্ছে ক্যাপিটাল ড্রেজিং, চালু হবে ৪ লাইটার জেটি

চট্টগ্রাম: শিগগির ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। ‘সদরঘাট থেকে বাকলিয়া চর পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি’নামে ২৪২ কোটি টাকার প্রকল্পটি বর্তমানে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
 

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ১২ তম সভায় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবালজানান, ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর কাজ শুরু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে পাস হলেই কাজ শুরু হয়েযাবে।


 
মামলা জটিলতার কারণে কর্ণফুলী ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেচট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করতে নৌ-বাহিনীর মাধ্যমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) প্রকল্পবাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

 
বন্দর চেয়ারম্যান জানান, ড্রেজিং হলে সদরঘাটে নির্মিত লাইটারিং জেটি ব্যবহারযোগ্য হবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যলাইটারিংয়ের পাশাপাশি পণ্য খালাসে গতি ফিরে আসবে।  
 
তিনি বলেন ২৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর কাজ চলবে এক বছর। এরপর তিন বছর রক্ষণাবেক্ষণের কাজচলবে। প্রকল্পটি এখন ক্রয়সংক্রান্ত কমিটিতে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সদরঘাটে লাইটারেজ জেটি তৈরি করা হয়েছে। কেবল ড্রেজিং হলেই তিন-চার মাসের মধ্যে এসব জেটি উদ্বোধন করা যাবে।
 
ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন,ক্যাপিটাল ড্রেজিং না হওয়ায় লাইটার জেটি ব্যবহার হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত লোকসান গুনছেন। এ বিষয়ে জরুরিপদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুরু হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে সদরঘাট এলাকায় নির্মিতলাইটারেজ জেটির আশপাশে ড্রেজিং হবে।
 
জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল ব্যাংক প্রটেকশন ও জেটি ফ্যাসিলিটিজসহ কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পবাস্তবায়নে ২২৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে মালয়েশিয়ান মেরিটাইম অ্যান্ড ড্রেজিং কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তিহয়।

মালয়েশিয়ান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি প্যাসিফিক মেরিন সার্ভিসকে স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৩সালের ২ জানুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে কাজ করতে না পারায় ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট চুক্তিবাতিলের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

২০১৪ সালের এপ্রিল মাসেই প্রকল্পে কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নতুন করে আবেদন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতেচিঠি চালাচালিতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে প্রকল্পের কাজ। ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবাতিল করে। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আদালতে যান। এতে থমকে যায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর কাজ।  

কর্ণফুলী নদীতে ক্যাপিটালড্রেজিংয়ের কাজ দীর্ঘ চার বছর বন্ধ থাকায় অকেজো হয়ে পড়ে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য আনা মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও বেশকয়েকটি গাড়ি।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।