তীব্র তাপে লোহা যখন গলে পানির মত তরল হয়ে যায় তখন তা ছাঁচের ঢাকনার ছোট ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। তারপর আবারো চাপা দেওয়া হয় বালির ঢাকনা দিয়ে।
এই পার্টসের কোনোটি নলকূপ, কোনোটি কড়াই, কোনটি আবার ধান ভাঙার কলের।
পার্টস তৈরির এই চিত্র নগরীর সাগরিকা এলাকার।
চট্টগ্রামের জাহাজ ভাঙা শিল্পের লোহার উপর ভিত্তি করে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠেছে এমন ফাউন্ড্রি শিল্প। এতে তৈরি হয় জাহাজের পাখা, শ্যালো ইঞ্জিনের সেচ পাম্প, পিস্টন, টিউবওয়েল, পাওয়ার টিলারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, লেদ মেশিন, গাড়ির ব্রেকের ড্রাম, করাত কল, ফ্লাওয়ার মিল, টেক্সটাইল মিল এবং অয়েল মিল, ধানকাটা মেশিন ও লোহার কড়াইসহ অন্যান্য মেশিনের যন্ত্রাংশ।
বগুড়ায় এই শিল্প ব্যাপক প্রসার লাভ করলেও কাঁচামালের যোগানদাতা চট্টগ্রামে তেমনভাবে ফাউন্ড্রি গড়ে ওঠেনি দক্ষ জনবলের অভাবে। নগরীর বায়েজীদ, সাগরিকা, সরাইপাড়া, মতিয়ারপুল এলাকায় ছোট ছোট কিছু কারখানা আছে। এগুলোর শ্রমিকরাও অধিকাংশ বগুড়া থেকেই আসা।
ভারত ও নেপালে ফাউন্ড্রি শিল্পপণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছ্। এ পণ্য চোরাই পথে পাচারও হচ্ছে। বাংলাদেশে অধিকাংশ কারখানা এখনো সনাতনী পদ্ধতিতে পণ্য উৎপাদন করে বলে এই শিল্পের বিশ্ববাজার এখনো চীনের হাতে। আধুনিকায়ন ও পর্যাপ্ত মূলধনের যোগান হলে বাংলাদেশে ফাউন্ড্রিও হতে পারে বৃহৎ শিল্প।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
জেডএম/