মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ সৎকারের তত্ত্বাবধানে থাকা চসিকের আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নয়জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাহ করা হয়েছে।
আর বাকি ছয়জনকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কাট্টলী, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা, কক্সবাজারের চকরিয়া ও রাঙামাটির বাড়িতে পাঠিয়ে তাদের মরদেহ দাহ করা হয়েছে বলে জানান জহরলাল হাজারী।
তিনি বলেন, নিহত অপর একজনের মরদেহ মঙ্গলবার রংপুরে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই তার মরদেহের সৎকার হবে।
নগরীর বলুয়াদীঘি মহাশ্মশানে সোমবার গভীর রাতে নিহত তিনজনের মরদেহ দাহ করার সময় মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীনসহ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৪ ডিসেম্বর দিনগত রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। দীর্ঘ ১৬ বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করা এই রাজনীতিক ছিলেন চট্টগ্রামের জনমানুষের নেতা।
সোমবার কুলখানি উপলক্ষে তার চশমা হিলের বাসা ছাড়াও নগরীর ১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের আয়োজন করা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বী ও গোমাংস না খাওয়াদের জন্য আয়োজন ছিল রীমা কমউনিটি সেন্টারে।
সেখানে অতিরিক্ত মানুষের হুড়োহুড়িতে নিচে চাপা পড়ে ১০জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হয় আরও অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
এমএ/