ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডাকাতির জন্য ঢুকে ধর্ষণে ৪ জন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
ডাকাতির জন্য ঢুকে ধর্ষণে ৪ জন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ঘরে ঢুকে চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও নিজে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন গ্রেফতার হওয়া মিজান মাতব্বর (৪৫)।  ধর্ষণে জড়িত বাকি চারজনের নাম প্রকাশ করেছেন তিনি।  ধর্ষণ নয়, ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে তারা ঢুকেছিল বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন মিজান।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরানের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মিজান মাতব্বর।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, মিজানের জবানবন্দিতে ধর্ষণের ঘটনা যে ঘটেছিল সেটার স্বীকারোক্তি এসেছে।

  সে আরো চারজনের নাম বলেছে।   এটা মামলার ‍গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।

‘জবানবন্দিতে মিজান জানিয়েছে, তারা ডাকাতির জন্যই প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকেছিল। এতে নেতৃত্ব দিয়েছিল স্থানীয় একজন।   মিজান ছাড়া বাকি চারজন ধর্ষণ করেছিল বলে জবানবন্দিতে সে জানিয়েছে। ’ বলেন এসি শাহাবুদ্দিন

নগরীর কর্ণফুলী থানা এলাকায় প্রবাসীর ঘরে ঢুকে চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় সিএমপির ব্যর্থতা স্বীকারের মধ্যে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির তদন্তভার নেয় পিবিআই।  

তদন্তে নেমে পিবিআই মিজান মাতব্বরসহ দুজনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আবু সামা নামে আরেকজনের তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলীর বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর গ্রামে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণ করে ডাকাতরা।  চারজনের মধ্যে তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী, অন্যজন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ননদ।

এই পরিবারের চার ভাইয়ের মধ্যে তিনজন মধ্যপ্রাচ্যপ্রবাসী।  তিন ভাইয়ের স্ত্রী তাদের শাশুড়ি ও দুই সন্তান নিয়ে এই বাড়িতে থাকেন। ধর্ষিতা গৃহবধূদের একজন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন।

এ ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসি করার অভিযোগের পর ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদের নির্দেশে কর্ণফুলী থানা পুলিশ প্রায় সাতদিন পর মামলা নেয়।   ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।

তবে কর্ণফুলী থানার গ্রেফতার করা তিনজনের কেউই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন পিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার অগ্রগতি জানাতে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার পর মামলা নেওয়া ও আসামিদের গ্রেফতারের কর্ণফুলী থানার আংশিক ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন সিএমপির উপ কমিশনার (বন্দর) হারুন-উর-রশিদ হাযারী।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এই সংবাদ সম্মেলনের পরদিন পিবিআই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নিল এবং দুজনকে গ্রেফতার করল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

চার নারী ধর্ষণ, দুই ‘ধর্ষক’ গ্রেফতার

চার নারী ধর্ষণ, ব্যর্থতা স্বীকার সিএমপির

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।