ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সেই ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
সেই ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর আলম

চট্টগ্রাম: বিজয় দিবসের মঞ্চে হামলার অভিযোগে মামলা দায়েরের পর কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।  জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ড.সৈয়দা নওশীন পর্ণিনীর জারি করা আদেশ দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে পৌঁছেছে।

জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার রমিজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ‍জাহাঙ্গীর আলমের বরখাস্তের আদেশ পেয়েছি।

  এটা কার্যকর করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) মোতাবেক তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের কথা বলা হয়েছে।

বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় এজে চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ মাঠে কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি এলাকার সকল জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনকে চিঠি দিয়ে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান।

একইভাবে শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও  অনুষ্ঠানের আপ্যায়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমকেও তিনি চিঠি দেন বলে জানা গেছে।

কিন্তু অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি দাবি করে অনুষ্ঠানের দিন অনুসারীদের নিয়ে মিছিল সহকারে বিজয় দিবসের মঞ্চে ওঠে হাতাহাতি শুরু করেন জাহাঙ্গীর আলম। এসময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা ও এক শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পাশাপাশি একই ঘটনায় বিজয় দিবসের শারীরিব কসরত প্রদর্শীনিতে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন শিশুও আহত হয়। হামলা চালাকালে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা পালিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। পুরো এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় আতঙ্ক। এক পর্যায়ে অনুষ্ঠান ১ ঘন্টা বন্ধ থাকে। পরে অনুষ্ঠান শুরু করা হলেও পুরস্কার বিতরণ বাদ দিয়ে শেষ করা হয়।

ঘটনার পাঁচদিন পর ২০ ডিসেম্বর এই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০জনকে আসামী করে মামলা করা হয়।   উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস সহকারী দীপু চাকমা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

সেই ঘটনার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিজেন ব্যানার্জিকে ওএসডি করা হলেও পরবর্তীতে তা প্রত্যাহার করে নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।