ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, সুবিধা দিতেই যত অযুহাত

মোহাম্মদ আজহার, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১
স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, সুবিধা দিতেই যত অযুহাত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অধিকাংশ বিভাগের পরীক্ষার রুটিন ও তারিখ ঘোষণার পর ইতোমধ্যে অনেক বিভাগের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ফলে প্রতিদিনই পর্যায়ক্রমে চলছে ফরম পূরণ ও টাকা জমা নেওয়ার কাজ।

 

অ্যানালগ পদ্ধতিতে ফরমপূরণ ও টাকা জমা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। করোনা মহামারিতেও সংক্রমণরোধের কথা চিন্তা করে অ্যানালগ পদ্ধতিতে আনা হয়নি কোনো পরিবর্তন।

ফলে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ ও ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হচ্ছে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে। মানা হচ্ছে না নূন্যতম স্বাস্থ্যবিধি। ছোট একটি রুমে শত শত শিক্ষার্থীর ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করাটাও অসম্ভব। ফলে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের জমা দিতে হচ্ছে টাকা।

এদিকে টাকা নিতে স্বাস্থ্যবিধির কোনো তোয়াক্কা না করলেও শাটলট্রেন বা আবাসিক হলের সুবিধা দেওয়ার বেলায় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের অযুহাত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।  

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বা টিকা নিশ্চিত না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল এবং শাটলট্রেন চালু করা হবে না। কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, শাটল এবং হল খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হবে।  

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের করোনার এক ডোজ টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারলেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেলের করা অনলাইন জরিপে দেখা যায়, চবির ২৪ ভাগ শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছে। সেই হিসেবে এখনো টিকা পাননি ৭৬ ভাগ শিক্ষার্থী। কাজেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে লাগতে পারে আরও বেশকিছু সময়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের বেশ কয়েকটি বিভাগের পরীক্ষার নির্দিষ্ট ফরমে উল্লেখ রয়েছে, শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে অবস্থান ও পরিবহন ব্যবস্থার দাবি করতে পারবে না। এ মর্মে স্বাক্ষর করেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে হচ্ছে।  

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী নেয়ামত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, শাটল বন্ধ থাকায় আমরা কষ্ট করে শহর থেকে আসতে হচ্ছে। গণপরিবহনে কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। পরীক্ষার ফরম ও টাকা জমা দেওয়ার সময়ও শতশত শিক্ষার্থীদের ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে। কিন্তু শুধুমাত্র হল-পরিবহন সেবা চালু করার বিষয়ে কেউ বললেই প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধির দোহায় দিচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধির কথা যদি প্রশাসন এতটাই চিন্তা করতো, তাহলে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার আগেই স্বাস্থ্যবিধি যাতে লঙ্ঘন না হয়, সে ব্যবস্থা করা হতো।  

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আগেই বলেছি হল-পরিবহন বন্ধ থাকবে। এ শর্তে যদি তারা পরীক্ষা দিতে রাজি হয়, তবেই বিভাগগুলো পরীক্ষা নিবে। শতভাগ ভ্যাকসিন নিশ্চিত হওয়ার পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হল-পরিবহন খোলা হবে।  

প্রক্টর বলেন, ব্যাংকে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সচেতনতা অবলম্বন করা উচিৎ। তারপরও আমরা এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলবো।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
এমএ/টিসি 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।