ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবিতে শেষ হলো চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
চবিতে শেষ হলো চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্যবসা পুনর্গঠন’ শিরোনামে অনলাইনে ২ দিনব্যাপি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)।

শুক্রবার ও শনিবার (১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়ালি এ সম্মেলন আয়োজন করে চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চ।

সম্মেলনে পৃষ্ঠপোষকতা করে চিটাগং ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিইউসিবিএ) ও হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড।

ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার এবং অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস. এম. সালামত উল্ল্যাহ ভূঁইয়া এবং ব্যাংকিং ও ইন্সুরেন্স বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ।  

সম্মেলনে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন রবি আজিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের আহ্বায়ক ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইয়ুব ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন ব্যুরো অব বিজনেস রিসার্চে  পরিচালক ও ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. শোহরাবুদ্দীন।

কনফারেন্সে চবিসহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পিএইচডি ও এমফিল গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে উন্নীতকরণ এবং ডেলটা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের জন্য আইসিটি জ্ঞানসমৃদ্ধ উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে গুরুত্ব দিতে হবে।

মূখ্য আলোচনায় রবি আজিয়াটার এমডি মাহতাব উদ্দিন টেকসই উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল যুগে ব্যবসা-বাণিজ্যকে কিভাবে পুনর্বিন্যাস করতে হবে তা পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন।  

তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগ তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর যুগ এবং এই প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ও সদ্ব্যবহারের উপর ভবিষ্যতের গতিপথ অনেকাংশে নির্ভরশীল। নিত্যনতুন তথ্য-প্রযুক্তি কিভাবে উৎপাদন, মিডিয়া, বিনোদন, যোগাযোগ, পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতকে প্রভাবিত করছে তার উপরও আলোকপাত করেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ১০টি স্বতন্ত্র পর্বে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ৫০টি গবেষণা উপস্থাপন করেন। সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত পর্বগুলোতে অধিবেশন- সভাপতি, আলোচক এবং অংশগ্রহণকারীরা নিজস্ব চিন্তাভাবনা ও মতামত প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
এমএ/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।