চট্টগ্রাম: নগরের জেএমসেন হলে দুর্গাপূজার মণ্ডপে হামলার চেষ্টা ও মণ্ডপের বাইরে পূজার ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়াসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
এদের মধ্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ‘বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ’ চট্টগ্রাম মহানগরের ৪ জন নেতাও আছেন।
মিজান ও ইমনকে চকবাজার এলাকা থেকে, নাছিরকে টেরিবাজার এলাকা থেকে এবং রাসেলকে ষোলশহর ২ নম্বর গেইট এলাকা থেকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টার সময় ধারণকৃত ছবি এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের নেতাদের শনাক্ত করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এরা শিবিরের সাবেক নেতা। এদের মধ্যে হামলার পরিকল্পনাকারী, নেতৃত্বদাতাও আছে। এন এম নাছির উদ্দিন শিবিরের ফেসবুক পেইজ বাশের কেল্লা’র অ্যাডমিন পরিষদে কাজ করেছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে হামলার পরিকল্পনাকারী ও নেতৃত্বদাতা ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে ১৬ অক্টোবর জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টার ঘটনায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা অজ্ঞাতনামা আরও অন্তত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এসআই আকাশ মাহমুদ ফরিদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে হামলা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার হওয়া ইমরান মাজেদ রাহুলের বাবা মো. ইলিয়াছ নগরের দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি। এছাড়া ঘাটফরহাদবেগ এলাকার মো. হানিফ, নুপুর মার্কেটের আবদুর রহিম ও চন্দনাইশের হাশিমপুর এলাকার সায়দাবাদ গ্রামের এসএম ইউসুফও নেতৃত্ব দিয়েছে হামলায়। জড়িতদের অধিকাংশই টেরিবাজার, রিয়াজ উদ্দিন বাজার ও খলিফাপট্টি এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তাদের বাড়ি সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালী এলাকায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২১
এমআই/এসি/টিসি