ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে নাগরিকদের সক্রিয় হতে হবে’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
‘সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে নাগরিকদের সক্রিয় হতে হবে’ বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর

চট্টগ্রাম: স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও ধর্ম অবমাননার অজুহাতে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রয়েছে। অথচ আমাদের সংবিধানে সব নাগরিকের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে যেখানে প্রত্যেক নাগরিক তার নিজস্ব ধর্ম বা বিশ্বাস পালনে সমান সুযোগ পাবেন।

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর সোমবার (২৫ অক্টোবর) কক্সবাজারের একটি হোটেলে ৩ দিনব্যাপী (২৫-২৭ অক্টোবর) ‘আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ’ প্রকল্পের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা কর্মশালার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।  

রোকেয়া কবীর বলেন, আমি হতভম্ভ, লজ্জিত।

শুধু ধর্মীয় সংখ্যালঘু নয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী, তাদের ওপরও অত্যাচার, নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ওপর বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে অত্যাচার, নির্যাতনের বিষয়টি বিদ্যমান।  

তিনি সব নাগরিকের সমান সুযোগ তৈরিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি নাগরিকদেরও কার্যকর ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

উদ্বোধন পর্বে বক্তব্য দেন সিমাভি বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাহবুবা কুমকুম ও নারী প্রগতি সংঘের প্রজেক্ট ম্যানেজার সঞ্জয় মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন হিল ফ্লাওয়ারের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিলু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, টংগ্যার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ডা. পরশ খীসা, অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ডনাই প্রু নেলী, গ্রাউসের নির্বাহী পরিচালক চাইসিং মং, তহজিংডং এর নির্বাহী পরিচালক চিংসিং প্রু, প্রোগ্রেসিভ এর নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা, উইভ এর নির্বাহী পরিচালক নাইউপ্রু মারমা মেরী, কেএমকেএস এর নির্বাহী কমিটির সদস্য শাপলা ত্রিপুরা।

রোকেয়া কবীর বলেন, আমাদের দেশের একটি বড় অংশ কিশোর-কিশোরী। তাদের স্বাস্থ্য, অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও অবদান রাখছে। তারই অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামের কিশোরী ও যুব নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সহিংসতামুক্ত, মর্যাদাপূর্ণভাবে জীবন যাপনে দক্ষ করে তুলতে এ প্রকল্পটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নে প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।         

কর্মশালায় ‘আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যৎ’ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংগঠনগুলোর ৬৩ জন কর্মী অংশ নিচ্ছেন।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে সিমাভি নেদারল্যান্ডস এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের সহযোগিতায় পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় ১০টি সংগঠন কিশোরী ও যুব নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার, সহিংসতামুক্ত জীবনযাপন এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার জন্য সচেতনতা এবং জীবন দক্ষতাবৃদ্ধি সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।