চট্টগ্রাম: সকাল থেকেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের বাইরে ভিড়। কেউ এসেছেন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে, কারও হাতে উড়ছে লাল সবুজের পতাকা।

প্রায় ২৬ মাস পর চট্টগ্রামের দর্শকেরা পেলেন গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে ত্রিদেশিয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে সবশেষ দর্শক দেখা গিয়েছিল এই মাঠে। এরপর ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কোনও ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও দর্শকশূন্য গ্যালারিতে সিরিজটি শেষ হয়।  

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকালে শুরু হওয়া বাংলাদেশ-পাকিস্তানের প্রথম টেস্টের মধ্য দিয়ে স্টেডিয়ামে কেটেছে দর্শক খরা। ৫০ শতাংশ দর্শক মাঠে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন।  

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ২টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করে বিসিবি। চার ক্যাটাগরিতে এই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। ক্লাব হাউজ পূর্ব গ্যালারির টিকিটের মূল্য নির্ধারিত করা হয়েছে ২০০ টাকা। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডের মূল্য ৩০০ ও হসপিটালিটি বক্সের টিকিটের মূল্য ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  

এই স্টেডিয়ামে ১৭ হাজার দর্শক বসার ধারণক্ষমতা আছে। তবে করোনার এ সময়ে পাঁচ হাজার দর্শককে মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।  

দীর্ঘ ৭৯৫ দিন বিরতির পর মাঠে প্রবেশ করতে পেরে দর্শকেরা মেতে উঠেছেন উৎসবে। নগরের আগ্রাবাদ থেকে বন্ধুকে নিয়ে স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা নয়ন বাংলানিউজকে বলেন, ‘অনেকদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ মাঠে বসে দেখার সুযোগ হয়নি। অবশেষে সুযোগ হলো। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় মাঠে চলে এসেছি। ’

ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে আসা নাফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমরা গৃহবন্দি ছিলাম। সব খেলা টিভিতেই দেখতে হয়েছে। করোনার মধ্যে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সুযোগ তাই হাতছাড়া করতে চাইনি। বাংলাদেশ দলের জন্য শুভ কামনা।

সদ্যসমাপ্ত টি–টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক দর্শকের কণ্ঠে ছিল হতাশা। তবে তারা আশাবাদী, টেস্টে ভালো কিছু করে তাদের সেই হতাশা মুছে দেবে মুমিনুল হকের দল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২১
এমআই/এসি/টিসি