ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফের পিছিয়েছে প্রদীপের জামিন আবেদন ও চার্জ গঠনের শুনানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
ফের পিছিয়েছে প্রদীপের জামিন আবেদন ও চার্জ গঠনের শুনানি ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জ গঠন ফের পিছিয়েছে। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ঈসমাইল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আজ সোমবার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জ গঠনের তারিখ ছিল। আজ কক্সবাজারে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মামলার শুনানির তারিখ থাকায় চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হয়নি।

আগামী ১৫ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ রেখেছেন আদালত। চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদ স্যার অসুস্থ থাকায় ছুটিতে ছিলেন। আজকে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ঈসমাইল হোসেনের আদালতে মামলাটি শুনানি হয়েছে।  

এর আগে গত ২২ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে ওসি প্রদীপের চার্জ গঠন পিছিয়েছিল। আদালত চার্জ গঠন ও জামিন আবেদনের শুনানির তারিখ আজ সোমবার (৬ ডিসেম্বর) নির্ধারণ করেছিলেন। গত ২৬ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়েছিল। গত ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন আদালত।  

গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২১ 
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।