চট্টগ্রাম: সত্তরোর্ধ্ব জাহানারা বেগম ও হোছনে আরা বেগম। তারা এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর শুনে সিএনজি অটোরিকশা যোগে যাচ্ছিলেন গন্তব্যে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক সংলগ্ন হাটহাজারী উপজেলার সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, বুধবার সকালে রাউজান উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামের আব্বাস আলী টেণ্ডল বাড়ি থেকে তারা রওনা দেন। উদ্দেশ্য হাটহাজারী উপজেলার চারিয়া গ্রামে তাদের মৃত আত্মীয়কে শেষবারের মতো দেখা। এর মধ্যে তারা চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের হাটহাজারী কলেজ গেট এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা থেকে নেমে পৌরসভার কাছারি সড়ক দিয়ে হাঁটা শুরু করে।
পথিমধ্যে প্রতারক চক্রের এক সদস্য তাদের অপর একটি সিএনজিতে অটোরিকশায় উঠতে বলে। এ সময় প্রতারকরা তাদের দেখে খুব হতদরিদ্র মনে হচ্ছে এমনটা জানিয়ে তাদের ত্রাণ (এক বস্তা চাল, পাঁচ লিটার তেল ও একটি কম্বল) দেওয়া হবে বলে। তাই, ত্রাণের জন্য উপজেলায় যেতে হবে বলে ওই সিএনজি অটোরিকশা যোগে তাদের নিয়ে হাটহাজারী উপজেলার সামনে নিয়ে আসে। এরপর অভিনব কায়দায় তাদের পরিধেয় স্বর্ণালঙ্কার (দুই জোড়া কানের দুল), এন্ড্রয়েড মোবাইল ও নগদ টাকা-পয়সা তাদের একজনের (হোছনেয়ারা বেগম) ব্যাগে রেখে ত্রাণ নেওয়ার জন্য উপজেলা কমপাউন্ডে ঢুকতে বলে।
এর মধ্যে প্রতারক চক্রের সদস্যরা হোছনে আরা বেগমের কাছে রক্ষিত স্বর্ণালঙ্কার, এন্ড্রয়েড মোবাইল ও নগদ টাকা-পয়সাসহ ব্যাগটি টেনেহিঁচড়ে নিয়ে তাকে সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেন। এ সময় প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে যখন হাউমাউ কান্না শুরু করলে প্রতারক চক্রের সদস্যরা সিএনজি অটোরিকশা যোগে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক হয়ে রাউজানের দিকে দ্রুত পালিয়ে যায়।
বিষয়টির ব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার ডিউটি অফিসার ও সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ করেনি, করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এমআই/টিসি