ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবি সাংবাদিক সমিতির রজতজয়ন্তী উদযাপন 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
চবি সাংবাদিক সমিতির রজতজয়ন্তী উদযাপন  চবিসাস এর রজতজয়ন্তীর কেক কাটেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার সহ অতিথিরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)। পঁচিশ বছর পূর্তিতে রজতজয়ন্তী উদযাপন করেছে সংগঠনটি।

 

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিভিন্ন পর্বের মধ্যদিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।

সকাল সাড়ে ১১টায় চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে কেক কাটার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।

চবিসাস সভাপতি ইমরান হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুনাওয়ার রিয়াজ মুন্নার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ, মুখ্য আলোচক যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি মো. শহীদুল হক, চবিসাসের সাবেক সভাপতি সাহাব উদ্দিন নিপু ও হামিদ উল্লাহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, সাংবাদিকদের বিবেকের মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে। হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে হবে। সঠিক তথ্য জেনে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়, ভয় পেয়ে যায়। আশা রাখি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি সৎ সাংবাদিকতা করবে। আর চ্যালেঞ্জগুলো সাহসের সাথে মোকাবিলা করবে।

তিনি বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে একসাথে চলি, একসাথে ভাবি এ বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারে। অন্তত আমরা যেন নতুন কিছু সৃষ্টি করতে পারি। বিজ্ঞানে ও গবেষণায় প্রথম হতে পারি।  

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, সাংবাদিক সমিতি প্রমাণ করেছে তারা কতটা দৃঢ়প্রত্যয়ী। ২৫ বছরের এ যাত্রায় তারা আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা চাই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে আপনারা তুলে ধরবেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকরা হলো জাতির বিবেক ও আয়না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে। তাই সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির দিকে লক্ষ্য রাখবেন।

মুখ্য আলোচক মো. শহীদুল হক বলেন, সাংবাদিকদের ওপর রাজনৈতিক নিপীড়ন বাংলাদেশের সাংবাদিকতাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে হলে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি ও অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারের প্রবণতা রোধ করতে হবে। রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত কারণে সাংবাদিক হয়রানি বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় একটি ঘৃণ্য কালো অধ্যায়। এমন অনেক চ্যালেঞ্জ সাংবাদিকদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে।  

সভাপতির বক্তব্যে চবিসাস সভাপতি ইমরান হোসাইন বলেন, সাংবাদিক সমিতি এ দীর্ঘ যাত্রায় অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু আমরা কখনো দমে যাইনি। আমরা চেষ্টা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়গুলো সর্বোচ্চ তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে তুলে ধরার। সাংবাদিক সমিতি যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি তুলে ধরে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের উন্নয়ন কার্যক্রমও সমানভাবে প্রচার করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমরা সহযোগিতা কামনা করি।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সাংবাদিকতা করতে হবে। সর্বোচ্চ তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে আমাদের উজ্জীবিত করবেন সাংবাদিকরা। চবি সাংবাদিকদের প্রতি সত্যনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপনের অনুরোধ রইলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
এমএ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad