ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাতকানিয়ায় দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ: দুই তরুণ কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
সাতকানিয়ায় দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ: দুই তরুণ কারাগারে প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: সাতকানিয়ায় দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দুই তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে  শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালত তোলা হলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযুক্তরা আসমীরা হলেন, এঁওচিয়া ইউনিয়নের টুডিরবাড়ি এলাকার মেজবাহ উদ্দিন ওরফে কালু (২০) ও কাঞ্চনা ইউনিয়নের বখশিরখীল এলাকার মো. আলমগীর (১৯)।

ভুক্তভোগী দুই জনের মধ্যে একজন ১২ বছরের মাদ্রাসার ছাত্রী এবং অন্যজন ১৪ বছরের স্কুলছাত্রী। তারা দুইজন সম্পর্কে খালা-ভাগনি।  

মামলার এজাহারের তথ্যানুযায়ী, গত সোমবার সকালে মাদ্রাসাছাত্রী বাবা-মায়ের সঙ্গে এঁওচিয়ার নানার বাড়িতে বেড়াতে যান। ওই দিন বিকেলে ভুক্তভোগী খালা-ভাগনি দুইজন স্থানীয় একটি দোকানে পান-সুপারি কিনতে যায়। কিন্তু তারা বাড়ি না ফেরায় আত্মীয়স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকে। কোথাও তাদের সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে অবহিত করে। পরদিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ওই ইউনিয়নের আলীনগরের তলিপাহাড় এলাকা থেকে কান্না করতে করতে ফিরছিল দুই কিশোরী। স্বজনরা তাদের দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। বাড়িতে আসার পর ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী জানায়, ঘটনার দিন বিকেলে পান-সুপারি কিনে বাড়ি ফেরার পথে লাম্বিনামা এলাকা থেকে অভিযুক্ত মেজবাহ উদ্দিন ও আলমগীর তাদের জোরপূর্বক একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। পরে তলিপাহাড়ের নির্জন এলাকায় নিয়ে তাদের একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই দুই তরুণ।  

ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে জানিয়ে সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার দে বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর স্বজন। পরে অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে অভিযুক্ত দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করি। আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে আদালত দুই তরুণকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
এমআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।