ঢাকা, বুধবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুদকের মামলায় প্রদীপের স্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
দুদকের মামলায় প্রদীপের স্ত্রীর বিরুদ্ধে আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ  ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। একই মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। চুমকি কারন পলাতক রয়েছে।

 

সাক্ষ্য দেওয়া তিনজন হলেন, চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১–এর উপ–কর কমিশনার হারেছ আহমেদ, অফিস সহকারী মো. শওকত আলী ও কর অঞ্চল-৩–এর উচ্চমান সহকারী মো. আবুল কালাম।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, চুমকি কারনের বিরুদ্ধে তিনজন কর কর্মকর্তা–কর্মচারী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। চুমকি কারনের নামে থাকা বাড়ি, গাড়ি ও ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন তিন কর কর্মকর্তা–কর্মচারী । এই তিনজনসহ চুমকি কারনের বিরুদ্ধে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৬ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

তিনি বলেন, এ মামলার ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।  

এর আগে গত ২৬ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ পত্রের ওপর শুনানি হয়। গত ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন।  

গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।  

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।