ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতেও ক্যাম্পাসে দাম বাড়েনি ইফতারির

মোহাম্মদ আজহার, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২২
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতেও ক্যাম্পাসে দাম বাড়েনি ইফতারির ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও (চবি) এখন পবিত্র রমজানের আমেজ। রমজানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসের আশপাশের মেস ও কটেজে অবস্থান করছেন।

 

রমজানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাহিদা মেটাতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে তৈরি হয়েছে ছোট বড় অনেক ইফতার বিক্রির স্টল। ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট, রেলস্টেশন, আবাসিক হল ও অনুষদের ঝুপড়িসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধশতাধিক ইফতার সামগ্রীর দোকান ও স্টল বসিয়েছেন বিক্রেতারা।

 

বিকেল হলেই শুরু হয় ইফতার তৈরির কাজ। নিয়মিত ইফতার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, ডিম চপ, জিলাপি, বুন্দিয়া, হালিমসহ বাহারি রকমের খাবার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টলগুলোতেও বাড়তে থাকে শিক্ষার্থীদের ভিড়।

আগে যারা ভাত বিক্রি করতেন, এ রমজানে তারা নতুন করে শুরু করেছেন ইফতার সামগ্রী বিক্রি। এছাড়া সেহরির জন্য ভোররাতেও এখন দোকানগুলোতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের ভিড়। করোনাকালে দীর্ঘদিন ব্যবসায় মন্দা গেলেও সম্প্রতি আবার সচল হয়েছে ক্যাম্পাসের দোকানিদের ব্যবসা। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আশানুরূপ লাভ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।  

হোটেল মালিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমরা ব্যবসায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তবে ক্যাম্পাস খোলার পর থেকে আমাদের ব্যবসা পুরোদমে চলছে। তাছাড়া এখন রমজানেও ক্যাম্পাস খোলা রয়েছে। এখন নিয়মিত ইফতার ও সেহরির ব্যবস্থা করছি। ভালো সাড়াও পাচ্ছি। তবে জিনিপত্রের দাম বাড়লেও আমরা আমাদের খাবারের দাম বাড়াতে পারিনি। যার ফলে আশানুরূপ লাভ হচ্ছে না।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থিত সোহাগ টি স্টলের মালিক মেহেরাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার পর এখন ক্যাম্পাস খুলেছে। রমজানে ব্যবসায় নতুনমাত্রা যোগ করেছে ইফতার সামগ্রী বিক্রি। তবে আমি ২০১২ সাল থেকে এখানে দোকান করছি। আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে সব। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আমাদের খুব সীমিত লাভ হচ্ছে।  

চবির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নুর ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ইফতারের দাম দেখেছি আগের মতোই রয়েছে। তবে সেহরির সময় অনেকক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হয়। যারা নিজেরা রান্না করে খান, তাদেরকে চওড়া দামে কিনতে হয় জিনিসপত্র। ফলে খাবারের দাম একটু বেশিই হয়ে যায়। তবে এবার রমজানে ক্যাম্পাস খোলা থাকায় শিক্ষার্থীদের পদচারণা অনেক বেশি। বিকাল থেকে বন্ধুরা মিলে ইফতারের প্রস্তুতি নেওয়ার মাঝেও একধরনের আনন্দ আছে। যা এবার উপভোগ করছি আমরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২২
এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।