ঢাকা, রবিবার, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৬ মে ২০২৪, ১৭ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ওসি প্রদীপের দুর্নীতি মামলায় আরও ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২২
ওসি প্রদীপের দুর্নীতি মামলায় আরও ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

চট্টগ্রাম: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আরও ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ নিয়ে ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।  

সাক্ষীরা হলেন- মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, আনোয়ারুর ইসলাম, কামরুল হাসান, মো. মোর্শেদ আলম, হাসিনা আকতার, শিবনী শর্মা ও আরিফুল ইসলাম।

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে আরও ৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন আদালত। সাতজন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জন রাজস্ব কর্মকর্তা ও একজন ব্যাংকার। এই ৭ জনসহ ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে মোট ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন আদালত। এ সময় প্রদীপ কুমার দাশ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আগামী ১৩ এপ্রিল পরবর্তী দিন সাক্ষীর জন্য রেখেছেন আদালত।  

ওসি প্রদীপের আইনজীবী রতন চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে আরও ৭ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামি পক্ষ থেকে ৭ জনকেই জেরা করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চার্জ গঠন হয়। গত ২৬ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়। গত ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২২
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।