ঢাকা, রবিবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হচ্ছে না ঐতিহাসিক জব্বারের বলীখেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
হচ্ছে না ঐতিহাসিক জব্বারের বলীখেলা ...

চট্টগ্রাম: করোনা মহামারীর কারণে গত দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ঐতিহাসিক জব্বারের বলীখেলা ও মেলা। এছাড়া লালদীঘির মাঠ উন্মুক্ত না হওয়ায় এবছরও হচ্ছে না বলীখেলা ও মেলা।

 

বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এসময় বলা হয়, ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে চট্টগ্রাম শহরে এই বলীখেলা অনুষ্ঠানের প্রচলন হয়।

১৩১৬ বাংলার ১২ বৈশাখ, ১৯০৯ সালে প্রথম এই বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৯০তম আসর নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। এই বলীখেলা উপলক্ষে কয়েকদিন ধরে মেলা চলে, যা প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়। বৃটিশ শাসনের অবসানের পর রাষ্ট্রীয় এই মেলার পরিধি ও জনপ্রিয়তা ব্যাপকতা লাভ করে। চট্টগ্রাম পৌরসভার পর সিটি করপোরেশন, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটি প্রতি বছর ১২ বৈশাখ এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতায় ২০২০ ও ২০২১ সালে এই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। মহামারী প্রতিরোধে গণটিকা প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যকর কর্মসূচির কারণে বর্তমানে দেশ ও জাতি অনেকটা নিরাপদে। দেশে ইতিমধ্যে অনেক মেলা ও উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিগত ১১০ বছর ধরে এই বলীখেলা লালদীঘির মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। ঐতিহাসিক এই লালদীঘির মাঠ শত বছর ধরে অনেক ঘটে যাওয়া ইতিহাসের সাক্ষী। তার স্মৃতি ধরে রাখতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রশংসার দাবীদার। বর্তমানে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা মাঠটি এখনও উন্মুক্ত করা হয়নি।

বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পরিচিত আবদুল জব্বারের বলীখেলা ও মেলাসহ চট্টগ্রামের মানুষকে সকল ধরনের অনুষ্ঠানে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে এই লালদীঘির মাঠ দ্রুত উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন জানান তারা।

আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটির সভাপতি চসিক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বলেন, মাটি ও মানুষের খেলা এই জব্বারের বলী খেলা। করোনার কারণে ২ বছর হয়নি। এ বছর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ বছরও আমরা আয়োজন করতে পারছি না। বহু ইতিহাসের সাক্ষী লালদীঘি মাঠেই বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালে লালদীঘি ময়দানকে ঘিরে ঐতিহাসিক ছয় দফার স্মৃতি সংরক্ষণে ‘নগরীর লালদীঘি মাঠ সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধন’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। তাই মাঠটি উম্মুক্ত করা হয়নি। যদি এটি আগামী বছর সবার জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয় তাহলে আমরা আয়োজন করবো।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনআবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটির সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাবেক কমিশনার এ এস এম জাফর, সাধারণ সম্পাদক সওকত আনোয়ার বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।