ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভাইয়ের সন্তানরা দিচ্ছে হুমকি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
ভাইয়ের সন্তানরা দিচ্ছে হুমকি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন ...

চট্টগ্রাম: নগরের পাহাড়তলী থানাধীন সাগরিকা এলাকার বাসিন্দা শওকত করিম। তার একমাত্র সন্তান প্রতিবন্ধী।

এই সন্তানকে নিয়ে নিজ বাসায় বসবাস করতে পারছেন না তিনি। প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে আপন ভাইপো ও সন্ত্রাসীরা।
 

গত ৩১ জুলাই শওকত করিম সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে আবেদন করেছেন।

আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা তিন ভাই শওকত করিম, মৃত কে এম সিরাজুল ইসলাম, রেজাউল করিম। ১৯৮১ সালে ক্রয়কৃত দলিলমূলে ১৮ গন্ডা জায়গার মালিক এবং বি.এস নামজারী মোতাবেক ১৫ দশমিক ৫ গন্ডা জায়গা ভোগ দখল করে আসছি। যার বি.এস দাগ নং-১৩৯, ১৪৬, ১৪৮, ১৪৯, ১৫০। বড় ভাই কে এম সিরাজুল ইসলাম জীবিত থাকা অবস্থায় আমাদের  জায়গা-জমি নিয়ে কোনও বিরোধ ছিল না। আমরা একটি ৩য় তলা বাড়ি নির্মাণ করি। ৩ ভাই তিন ফ্লোরে বসবাস করছি। ২০১২ সালে আমার বড় ভাই মৃত্যুবরণ করেন। তার আগে ২০০৫ সালে তিনি ও তার পরিবার নিজ বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বাড়ি করেন। আমাদের সঙ্গে থাকা নিচ তলা ভাড়া দেন। আমরা দুই ভাই যার যার ফ্লোরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছি’।

‘দীর্ঘ ৪০ বছর পর বড় ভাইয়ের সন্তান রাকিবুল ইসলাম রবিন ও শাহেদুল ইসলাম রোমেল আমাদের বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ শুরু করে। এককভাবে জায়গা দাবি করে। যে জায়গা আমাদের তিন ভাইয়ের যৌথ সম্পত্তি। চলতি বছরের গত ২১ জানুয়ারি একদল সন্ত্রাসী আমার ভাইয়ের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রবিনের নেতৃত্বে আমার এবং আমার স্ত্রীর ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। জায়গা দখল করে ও সীমানা প্রাচীর দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে ২৩ জানুয়ারি পাহাড়তলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। যার তদন্ত করছেন এসআই আলমগীর। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ভাইয়ের ছেলেরা আমার নামে গত ৩ ফেব্রুয়ারি মিথ্যা জিডি করে। পরে গত ১৪ জুন ১৪৫ ধারায় আদালতে মামলা দায়ের করি’।  

শওকত করিম বলেন, গত ২৩ জুন রাকিবুল ইসলাম রবিন ও শাহেদুল ইসলাম রোমেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আবারও জায়গা দখল করার চেষ্টা চালায়। পরে আমি সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করি। তাৎক্ষণিক পাহাড়তলী থানা থেকে এসআই বিক্রমের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পুলিশের কথা অমান্য করে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতিতে সেখানে নির্মাণকাজ চলে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা সমাধানের জন্য সামাজিকভাবে ও কাউন্সিলর কার্যালয়ে বৈঠক করি। কিন্তু প্রতিপক্ষ কোনও কাগজপত্র দাখিল করতে পারেনি। তারা  সামাজিক বৈঠক মানেনি। আমি একজন বয়স্ক মানুষ। আমার একমাত্র ছেলে প্রতিবন্ধী। যার কারণে আমি মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আইন অমান্য করে তারা এখনও জায়গা দখলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।  এমতাবস্থায় আমার আর কোনও পথ খোলা না থাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।