ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বাংলাদেশি ছিটমহল নলগ্রামে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে সন্ত্রাসীরা

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১২

শিলিগুড়ি : ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত বাংলাদেশি ছিটমহল নলগ্রাম, ফলনাপুর ও জোংরায় জোর করে জমি দখল করে বেআইনি স্ট্যাম্প পেপারে দলিল তৈরি চক্র এবার বৃহস্পতিবার ধর্ষণ করলো একজন গৃহবধূকে।

নলগ্রাম ছিটমহলটি বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার অর্ন্তগত।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কুচবিহার জেলার মাথাভাঙা মহকুমার শীতলকুচি ব্লক দ্বারা বেষ্টিত।

বাংলানিউজসহ কলকাতা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে এর আগে বাংলাদেশি ছিটমহল নলগ্রাম, ফলনাপুর ও জোংরায় জোর করে জমি দখল করে বেআইনি স্ট্যাম্প পেপারে দলিল তৈরি চক্রের অপতৎপরতা সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যারা গণমাধ্যমকে এসব তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করেছিলেন, তাদের মধ্যে ছিটমহলের দুই বাসিন্দা রশিদ আলী ও আইনুল মিঞাকে ছিটমহল ছাড়া করে ছিট সুরক্ষা কমিটি নামধারী ওই চক্রের সন্ত্রাসীরা।

সুরক্ষা কমিটির সভাপতি বিজেন্দ্রনাথ বর্মণের(১৫ মে নলবাড়ির হামলায় অভিযুক্ত) নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা রশিদ আলি ও আইনুল মিঞার বাড়িতে থাকা অন্য সদস্যদের বিভিন্ন সময়ে ভয় দেখাতে থাকে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মাঠে গরু চড়াতে গেলে ওইসব পরিবারের এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে নলগ্রাম ছিটের বাসিন্দা রেজিয়ার মিঞার ছেলে সন্ত্রাসী সাইদুল মিঞা(৩০)। এ ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ মাঠেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকেন ধর্ষিতা। তার বাড়িও ঘিরে রাখে সন্ত্রাসীরা, যাতে পরিবারের অন্যরা তাকে নিয়ে ছিটের বাইরে বের হতে না পারেন।

বেলা ৪টার দিকে ওই পরিবারের সদস্যরা ছিটের বাইরে পালিয়ে এসে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সহ সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্তকে মোবাইলে ফোন করে ঘটনাটি জানান।

এরপরই খবরটি জানাজানি হয়। দীপ্তিমান বাংলানিউজকে বলেন, তারা ঘটনাটি কুচবিহারের জেলা শাসক মোহন গান্ধীকে জানিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের ভূখণ্ড বলে ভারতীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারছে না।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক এ করিমকে মেইল করে ঘটনা জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি। ’

বাংলাদেশ সময় : ২১০৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১২
আরডি/
সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।