ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

সংখ্যালঘু সংরক্ষণ, অন্ধ্র হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাবে কেন্দ্র

নয়াদিল্লি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১২

নয়াদিল্লি : এবার সংখ্যালঘু সংরক্ষণ নিয়ে বিচারবিভাগের সঙ্গে সমুখসমরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিল ইউপিএ সরকার।

মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু সংরক্ষণের বিশেষ প্রস্তাব খারিজ করে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে তা চ্যালেঞ্জ করা হবে।



কয়েক মাস আগেই সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষিত ২৭ শতাংশ আসনের মধ্যে ৪.৫ শতাংশ আসন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের জন্য বিশেষভাবে সংরক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছিল কেন্দ্র।

কিন্তু সোমবার বিচারপতি মদন বি লকুর ও বিচারপতি পি ভি সঞ্জয়কুমারকে নিয়ে গঠিত অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ মনমোহন সরকারের এই উদ্যোগ খারিজ করে দেয়।

দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণ চালু করার প্রস্তাবে ধর্মীয় কারণটাই মুখ্য। এক্ষেত্রে অনগ্রসরতার বিষয়টিকে কার্যত উপেক্ষা করা হচ্ছে। মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ইত্যাদি নানা ধর্মীয় গোষ্ঠীতে বিভক্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের জন্য একত্রে সংরক্ষণ চালু করার কেন্দ্রীয় নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

এছাড়া অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য নির্ধারিত ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের মধ্যে থেকে সংখ্যালঘুদের ৪.৫ শতাংশ ‘সাব-কোটা’ বরাদ্দ করার কেন্দ্রীয় প্রস্তাবের সমালোচনা করে অন্ধ্র হাইকোর্ট বলে, এখনও অনগ্রসর শ্রেণির বহু মানুষ রয়েছেন, যাদের সংরক্ষণ সত্যিই প্রয়োজন। ধর্মের ভিত্তিতে তাঁদের অংশে ভাগ বসানো অনুচিত।

কিন্তু এদিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত নয় কেন্দ্রীয় সরকার।

খুরশিদের দাবি, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নতির উদ্দশ্যেই তাঁদের জন্য বিশেষ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।