নয়াদিল্লি : ভারতে শেষ পর্যন্ত দাম কমেছে পেট্রোলের। শনিবার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলো লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ২ রুপি করে কমানোর ঘোষণা করেছে।
এর আগে গত সপ্তাহেই ইন্ডিয়ান অয়েলের প্রধান আরএস বুটোলা সংবাদমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার মূল্যবৃদ্ধি পুনর্বিবেচনা করতে বৈঠকে বসবে দেশের তেল সংস্থাগুলো। শনিবার সেই সূত্রেই বর্ধিত মূল্যের আংশিক প্রত্যাহার করা হলো বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন দাম চালু হলে কলকাতায় পেট্রোলের লিটারপ্রতি দাম ৭৭ রুপি ৮৮ পয়সা থেকে কমে হবে ৭৫ রুপি ৮১ পয়সা। দিল্লিতে দাম হবে ৭১ রুপি ১৮ পয়সা। মুম্বাইয়ে ৭৬ রুপি ৪৫ পয়সা ও চেন্নাইয়ে ৭৫ রুপি ৪০ পয়সায় মিলবে এক লিটার পেট্রোল।
যদিও পেট্রোলের আংশিক মূল্য কমানোয় খুশি নয় ইউপিএর শরিকসহ দেশের অন্যান্য দলগুলো। তেলের বর্ধিত দাম সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় রয়েছে বাম দলগুলোও।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, আংশিক বর্ধিত দাম সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
এআইডিএমকে নেত্রী জয়ললিতা বলেন, এভাবে দেশের মানুষের চোখে ধুলো দিচ্ছে কেন্দ্রের ইউপিএ সরকার।
গত মাসের ২৩ তারিখ থেকে পেট্রোলের দাম এক লাফে লিটার প্রতি সাড়ে ৭ রুপি বাড়িয়ে দেয় ভারতের জ্বালনি তেল কোম্পানিগুলো। এক ধাক্কায় পেট্রোলের এই নজিরবিহীন মূল্যবৃদ্ধিতে সারা দেশেই এর প্রতিবাদ শুরু হয়।
গত ৩১ মে ভারত জুড়ে হরতাল পালন করে এনডিএ। দেশ জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করে বামেরাও। বিরোধীদের পাশাপাশি কেন্দ্রে সরকারের শরিকরাও এই মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতা করে।
দেশ জুড়ে প্রতিবাদের মধ্যেও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জয়পাল রেড্ডি স্পষ্টই জানিয়েছিলেন, রুপির অবমূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির জেরে জেরবার দেশের জ্বালানি তেল সংস্থাগুলো। এই অবস্থায় পেট্রোলের বর্ধিত দাম কমার কোনো সম্ভাবনাই নেই। তবে ডিজেল, কেরোসিন বা এলপিজির মূল্যবৃদ্ধির সম্ভবনাও যে নেই সে কথাও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময় : ০০০০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর