কলকাতা: এই প্রথম কলকাতার মহাকরণে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসছেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সচিবরা। বৈঠকে ছিটমহল বিনিময় প্রক্রিয়া শুরুর রূপরেখা তৈরির ইঙ্গিতও মিলেছে।
মহাকরণ ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিন সচিবসহ বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি বৈঠকে যোগ দেবেন। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষে থাকবেন মুখ্যসচিব সমর ঘোষ ও স্বরাষ্ট্র সচিব বাসুদেব ব্যানার্জি। এছাড়া থাকবেন কোচবিহার জেলাশাসক মোহন গান্ধী ও জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র।
বাংলানিউজের শিলিগুড়ি করেসপন্ডেন্ট জানিয়েছেন, এই বৈঠকের খবর আসার পর কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন শনিবার ও রোববার দুটি জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশি ছিটমহলগুলোর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে।
কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গান্ধী এই বৈঠকের কথা স্বীকার করে ফোনে বাংলানিউজকে রোববার বলেন, ‘সোমবার কলকাতায় ছিটমহল সংক্রান্ত বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ পেয়েছি। ’
জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই জেলার বেরুবাড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় দুই দেশের জমিসংক্রান্ত কিছু সমস্যা আছে। বৈঠকে ওই বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
এছাড়া কোচবিহার জেলার অভ্যন্তরে বাংলাদেশি ছিট বাতুইগাছতে করলা নদীর (ভারতে মানসাই নাম পরিচিত) ভাঙনে ১২০০ একর জমি চলে গেছে নদী গর্ভে। তা নিয়েও আলোচনা হবে।
ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সহ-সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমরা সমীক্ষায় দেখেছি ১৪৯টি পরিবারের ৭৪৩ জন বাসিন্দা বাংলাদেশের ভারতীয় ছিটমহলগুলি থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডে আসতে চান। মে মাসে বিষয়টি দুই দেশের সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্রক্ষিতে সোমবারের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ’
তিনি বলেন, ‘ওই সমস্ত পরিবারের বসবাসের জন্য কোচবিহার লাগোয়া বাংলাদেশি ছিটমহলের বাসিন্দারাই নিজেদের ৬২ একর বাস্তুজমি নির্দিষ্ট করেছেন। সরকার ওই পরিবারগুলোকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিলেই আর কোনো সমস্যা হবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১০২৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর;
জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর
[email protected]