ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পঞ্চাশে পা দিল বিজ্ঞাপনের কার্টুন চরিত্র ‘আটারলি-বাটারলি’

মুম্বাই সংবাদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১২

মুম্বাই : কার্টুন নিয়ে ভারতে বিতর্কের ঢেউ উঠলেও দুগ্ধজাত পণ্য আমূলের ‘আটারলি-বাটারলি’ নামে ছোট্ট মেয়েটি যে দীর্ঘ সময় ধরে বিজ্ঞাপনে কার্টুন চরিত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, মঙ্গলবার ৫০ বছর পূর্ণ করল।

আমূল বাটারের এই ব্র্যান্ড ম্যাসকটের কাছে কোনো প্রতিবন্ধকতাই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।

১৯৬২ সাল থেকে মেয়েটির পরনে ববি প্রিন্টের জামা, মাথায় একই রকম প্রিন্টের ফিতে, বিভিন্ন সংলাপের মধ্যে দিয়ে সে মানুষকে হাসিয়ে আসছে।

‘আটারলি-বাটারলি’র ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ায় তাকে দিয়ে একটি কফি টেবিল বই প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন আমূল ও ডাকুয়া কমিউনিকেশনের কর্মকর্তা।

ডাকুয়া কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান সিলভেস্টার ডাকুয়া জানান, ‘ইউস্টেস ফার্নান্ডেসের গোলমুখকে সবাই গ্রহণ করে নিয়েছে। পাগড়ি ব্যবহার করে কখনও সে মনমোহন সিং আবার সাদা ব্যান্ড ব্যবহার করে সে ইন্দিরা গান্ধী হয়েছে। এভাবেই নতুন নতুন বিষয়ের সঙ্গে তাকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ’

প্রথম দিকে আমূলের ক্যাম্পেইন হতো ভারতের রেডিও ও প্রিন্ট মিডিয়াতে। ১৯৬৬ সালে প্রথম বিলবোর্ড ক্যাম্পেইন হয়। সেখানে ইউস্টেস হাঁটু মুড়ে বসে এক চোখ খুলে প্রার্থনা করছে। দৃষ্টি বাটারের দিকে। মনে মনে বলছে, ‘প্রতিদিন আমাদের ব্রেড আর বাটার জুগিও’।

এরপর তার সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষের কার্টুন দেখা গেছে। ক্রিকেটার শচীন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা পর্যন্ত সবাই দীর্ঘ ৫০ বছরে তার সঙ্গী হয়েছেন।

সম্প্রতি এনসিইআরটি’র বইয়ে কার্টুন ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তারপরে তা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষিত মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মানুষের বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয় ফেসবুকে কাটুন ব্যবহার করার জন্য।

বাংলাদেশ সময় : ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১২
আরডি/ সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।