কলকাতা: এর আগেও তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অমানবিক কাজের বিরোধীতায় সরব হয়েছেন। ছেড়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব।
বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায় পরিষ্কার বলেছেন, ‘এই মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতা করছে তৃণমুল। ’
কলকাতার তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকার বার বার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। তার নির্দেশেই এই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সর্বাত্মক বিরোধিতার পথে যাচ্ছে তৃণমূল।
সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়া বা মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে নেওয়ার মত চরম সিদ্ধান্তে যেতে পারেন তারা। তাদের সাথে কোনরকম আলোচনা ছাড়াই ইউপিএ-২ সরকারের বার বার এই সিদ্ধান্তের দায় বহন করতে নারাজ তৃণমূল।
সূত্র আরো জানিয়েছে, দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বর্তমান কংগ্রেস জোট সরকার যখন বার বার বেকায়দায় পড়ছে তখন তৃণমূল বরাবরই কংগ্রেসের পাশে থেকেছে। অন্যদিকে, এই সরকারের অন্যতম প্রধান শরিক করুনানিধির দল ডিএমকে জোটধর্ম ভুলে গিয়ে কংগ্রেস দলের বিরোধীতায় সরব হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস কোনরকম মতামত না নিয়েই এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়ে জোটধর্মকে অস্বীকার করেছে।
মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দলের অবস্থান ঠিক করতে শুক্রবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে দুপুর ১২টায় সাংসদদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকে রাজ্যসভা ও লোকসভার ২৯ জন সাংসদ উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে তৃণমূলের এই কঠোর অবস্থানে বৃহস্পতিবার রাতে নয়াদিল্লি রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গেছে।
নয়াদিল্লী সূত্রে জানা গেছে, এবিষয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি। জোট শরিকের এই অবস্থান জেনে তৎপর হয়ে ওঠেন তিনি। এই মূহুর্তে তৃণমূলের সর্মথন ছাড়া চলবে না এমনটাই তিনি জানিয়েছেন সোনিয়াকে। আসন্ন লোকসভা ও রাজ্যসভার শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূলের সমর্থন না থাকলে ভারত জুড়ে কংগ্রেসের অবস্থান যে নড়বড়ে হয়ে যাবে সেই বার্তাই দিয়েছেন প্রণব।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকেই ভারতে পেট্রোলের দাম বেড়েছে লিটার প্রতি ১ রুপি ৮২ পয়সা। এর ফলে প্রেট্রোলের দাম বেড়ে কলকাতায় ৭৩ রুপি ১০ পয়সা, দিল্লিতে ৬৮ রুপি ৬৬ পয়সা, চেন্নাইতে ৭২ রুপি ৬৪ পয়সা ও মুম্বাইতে ৭৩ রুপি ৭৪ পয়সা হল।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৩ ঘন্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১১