কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলের জামবনির বুড়িশোলের জঙ্গলে মাওবাদী শীর্ষনেতা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজি মৃত্যু হয়েছে বলে সিআরপিএফ জানিয়েছে। একই সঙ্গে নয়াদিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
রাজ্য পুলিশের আইজি পশ্চিমাঞ্চল গঙ্গেশ্বর সিং বৃহস্পতিবার বলেন, ‘লাশটি কিষেণজির। তার দেহরক্ষীকে দিয়ে লাশটি সনাক্ত করা হয়েছে। ’
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নিহত মাওবাদী এই নেতার লাশ আপাতত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এটি যৌথ বাহিনীর অন্তর্গত কোবরা ২০৭ বাহিনীর সাফল্য। বেলা পৌনে চারটে থেকে চারটের মধ্যে তিনি মারা যান। তার সঙ্গে আরও তিনজন মাওবাদীর মৃত্যু হয় বলে জানান হয়েছে। মৃতদেহের সামনে একে-৪৭ পাওয়া গেছে।
পুলিশের কাছে কিষেণজির এক বছর আগের ছবি রয়েছে। তার লাশের ডিএনএ টেস্ট হবে।
এদিন দুপুরে গোসাইবাঁধে ধর্মেন্দ্র মাহাতো নামে একটি কলেজের ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বাড়ি থেকে সুচিত্রা মাহাতোর ২১ তারিখের লেখা চিঠি, বাংলা-বিহার-ঝাড়খণ্ডের মানচিত্র পাওয়া গেছে, শশধর মাহাতোর ছবিও পাওয়া গেছে।
দুপুরে পুলিশ নিশ্চিত হয়ে যায়, মাওবাদী নেতারা এখনও জঙ্গলে রয়েছে। ফুলবনির জঙ্গল পেরিয়ে বুড়িশোলের কাছে তুমুল লড়াই হয় দুপুর থেকে। যৌথবাহিনী চারিদিক ঘিরে ধরে আক্রমণ চালায় এতেই মাওবাদীরা আর বেরনোর পথ পায় না। এক হাজার জওয়ানের যৌথবাহিনী আবার অভিযান চালায় বিকেল ৫টা ১০ মিনিট নাগাদ। আধঘণ্টা প্রবল গুলির লড়াইয়ের পর মাওবাদী নেতার লাশ দেখতে পাওয়া যায় তারা।
ভারতীয় সময়: ২৩৪৫ ঘন্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১১