কলকাতা: ভারতের সংসদের অচলাবস্থা কাটাতে বসা মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মিলেনি।
খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরেই সংসদ অচল করে রাখে বিরোধীরা।
তৃণমূল কংগ্রেসসহ ইউপিএ’র কয়েকটি সহযোগী দলও এর বিরোধিতায় সামিল হয়। ফলে প্রতিদিনই সংসদের অধিবেশন বসার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীদের হৈ হট্টগোলে সংসদের অধিবেশন মুলতবি করে দিতে হয়।
এই অধিবেশনে লোকপাল বিলসহ কয়েকটি বিল পাশ করার সরকারি ইচ্ছা থাকলে তা হতে পারছে না। তাই সরকারের পক্ষ থেকে সংসদের অচলাবস্থা কাটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এদিন সকালে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কংগ্রেস, বিজেপি, বামসহ সব দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাদের মতামত বিশ্লেষণ করা হয়। তবে বিরোধীরাও খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব থাকেন।
এদিনের বৈঠকে বিরোধীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে সংসদ অচল করে রাখা হবে। দু’পক্ষই নিজ নিজ সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় বৈঠক ব্যর্থ হয়।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকের বিষয় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে।
এদিকে এদিনও সংসদের অধিবেশন বসার সঙ্গে সঙ্গে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোচ্চার হন বিরোধীরা। ফলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সংসদের দুই কক্ষেরই অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১১