আগরতলা (ত্রিপুরা) : ভালো ফলনের পরও সবজির দাম পাচ্ছেন না ত্রিপুরার কৃষকরা। প্রচুর উৎপাদন হয়েছে এবার শীতকালীন সবজি।
কৃষকরা বাংলানিউজকে জানান, এবার যে বীজ তারা সংগ্রহ করেছিল তা ছিল বেশ ভালো। সারও মিলেছে সময় মতো। সেচের জন্য কোনও অসুবিধা হয়নি। তাছাড়া ফলনের সময় বৃষ্টিও হয়নি। সব মিলিয়ে চাষের জন্য সব রকমের আদর্শ পরিবেশ পাওয়া গেছে এবার। তাতে দারুণ ফলন হয়েছে।
বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে ফুল কপি বিক্রি হয়েছে নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে।
নভেম্বরের শেষ দিকে ফুল ও বাঁধা কপির দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যায় বাজারে। পাঁচ থেকে দশ টাকা কেজিতে এসে পড়ে কপির দাম। সাধারণ ক্রেতারা এতে দারুণ খুশি।
কিন্তু কৃষকের সর্বনাশ হয়েছে এই অস্বাভাবিক দাম কমায়। এ দাম কমার প্রধান কারণ, রাজ্যের প্রায় সব কৃষক একই সময়ে কপির চাষ শুরু করেছিল। ফলে প্রায় একই সময়ে তাদের ফসল উঠতে শুরু করে।
একই সময়ে কপি বাজারজাত হতে থাকে। এতে বাজারে দাম কমে যায়। এক সঙ্গে প্রচুর মাল পেয়ে যাওয়ায় পাইকারি বিক্রেতারাও দাম কমিয়ে দিতে থাকে। ফলে ফসল থাকা সত্বেও দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা।
তাছাড়া বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন পথে এই সময় কপি ঢুকছে রাজ্যের বাজারগুলতে। এ কারণে দাম আরও কমে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ কম দামে ফসল পাচ্ছেন কিন্তু লাভ হচ্ছে না কৃষকের। মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ফসল।
ত্রিপুরার কৃষি আধিকারিকরা জানান, এক হেক্টর জমিতে কপি চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু এখন যা দাম তাতে বড়জোড় উঠে আসবে ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। ফলে বিরাট ক্ষতির মুখে রাজ্যের চাষিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১১