কলকাতা: ২৭ ডিসেম্বর, ২০১১। ঠিক একশ বছর আগের কথা।
আগের দিন কলকাতায় শুরু হয় কংগ্রেসের অধিবেশন। দ্বিতীয দিনের প্রথমেই অনেকে মিলে গাইলেন একটি নতুন গান। জনগণমন অধিনায়ক জয় হে ভারত ভাগ্যবিধাতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তখনও নোবেল পুরস্কার পাননি, কিন্তু তত দিনেই তিনি রীতিমত স্বনামধন্য।
এর অনেক দিন পর, ১৯৩৭ সালে, প্রশ্ন উঠল, ভারতবর্ষ যখন স্বাধীন হবে, আজ না হোক কাল, তখন কোন গানটি হবে ভারতের জাতীয় সংগীত?
এমনিতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বন্দে মাতরম্’ স্বাধীনতা সংগ্রামে একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিল বটে, কিন্তু সেই গান নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল, অনেক আপত্তি, কারণ সমস্ত ভারতবাসীর কাছে সেটি গ্রহণীয় ছিল না। অভিযোগ ছিল গানটিতে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের আরাধ্য ঈশ্বরের গুণগান করা হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই ওঠে এল কবিগুরুর ‘জনগণমন’। দ্বীখণ্ডিত ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পর ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি, অর্থাৎ স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকর হওয়ার দু’দিন আগে গণপরিষদে এই গান আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃত হল।
জাতীয় সংগীত হওয়ার পর স্বভাবতই গানটি গাইবার একটি নির্দিষ্ট রীতি নির্ধারিত রয়েছে সেই রীতি অনুসারে এ গান সম্পূর্ণ করতে সময় লাগে প্রায় ৫২ সেকেন্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১১