ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভারতে এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হল না এক বাংলাদেশির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১২

কলকাতা: ৮ বছর ভারতে অবস্থান করে বৈধভাবে ভারতের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র যোগাড় করেও শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশি হিসেবে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামের।

গত শনিবার হায়দরাবাদে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

 

সৈয়দ আবু নাসির নামে ভারতে স্থায়ী হওয়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন তিনি।

এমনকি ভারতীয় পাসপোর্টে সৌদি আরবে কর্মী হিসেবে গিয়ে চাকরিও করে আসেন জাহিদুল ইসলাম।

হায়দরাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস চতুর্বেদি রোববার এসব তথ্য জানান।

জাহিদুল ইসলাম ভারতীয় পাসপোর্টসহ আটক হন।   ভারতে তার নাম হয় সৈয়দ আবু নাসির। তিনি মুম্বাইয়ের একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের চাকরি করছিলেন।

চতুর্বেদি বলেন, ‘জাহিদুল ইসলাম ২০০৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে গিয়েছিলেন ভারতের কলকাতায়। সেখানে কিছুদিন থেকে যান উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের দেওবন্দ মাদ্রাসায়। ’

দেওবন্দে ভর্তির চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে চলে যান মুম্বাই। তবে এ সময়ের মধ্যে জাহিদুল ভারতের পাসপোর্ট, রেশনকার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র সবই যোগাড় করে ফেলেন।  

পুলিশ কর্মকর্তা চতুর্বেদি জানান, ২০১০ সালে জাহিদুল ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে চাকরি করতেও যান। তবে সেখান থেকে ২০১১ সালের শেষ দিকে আবারও ভারতে চলে আসেন।

তিনি বলেন, ‘জাহিদুল তথ্য গোপন করে ভারতীয় পাসপোর্ট বা পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছে। এর সুস্পষ্ট প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। ’

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, জাহিদুল মুম্বাইয়ের মসজিদ ই ইত্তেহাদুল মিল্লাতে মুয়াজ্জিন হিসেবে চাকরি যোগাড় করেন। সৌদি আরবে যাওয়ার আগেও অবশ্য তিনি ওই মসজিদে চাকরি করতেন।

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব থেকে ফিরে জাহিদুল ইসলাম মুম্বাইয়ে যাননি। তিনি হায়দরাবাদের অন্য এলাকা রাজেন্দ্রনগরের চিনতালমেত এলাকায় নতুন নির্মিত একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের চাকরি যোগাড় করেন।
 
আটক সৈয়দ আবু নাসির ওরফে জাহিদুল ইসলামকে রোববার হুমায়ুন নগর থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।