কলকাতা: ভোটের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের হিমালয়ের পাদদেশের রাজ্য উত্তরখণ্ডের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে অন্তর্বিরোধ আর অন্তর্ঘাতের খেলা। শাসক বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস দুই দলেরই রাজ্য নেতৃত্বের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকিট না পাওয়া বিদ্রোহীরা।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মোট ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে অন্তত দু’ডজন করে কেন্দ্রে দলেরই বিক্ষুব্ধ সতীর্থদের মুখোমুখি হতে হবে হাত এবং পদ্মফুল মার্কার প্রার্থীদের। বিদ্রোহীদের অনেকেই নিজের নাক কেটে অফিসিয়াল প্রার্থীদের যাত্রা ভঙ্গ করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২০০৭ সালের বিধানসভা ভোটে উত্তরাখণ্ডে বিজেপি ৩৪ এবং কংগ্রেস ২১টি আসনে জিতেছিল। বিএসপি ৮ এবং উত্তরাখণ্ড ক্রান্তি দল ও নির্দলরা তিনটি করে কেন্দ্রে জয় পান। এবার দুর্নীতি ও খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে এক ডজন বিধায়কের টিকিট দেয়নি বিজেপি। এদের মধ্যে রয়েছেন দুই মন্ত্রী খাজান দাস এবং গোবিন্দ সিং বিস্ত।
অন্য দিকে, সাবেক পশুপালন মন্ত্রী এমপি নৈথানি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের অনুগামী জোত সিং বিস্ত-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে মনোনয়ন দেয়নি কংগ্রেস। দু`দলের এই টিকিট না পাওয়া নেতাদের অধিকাংশই ইতিমধ্যে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
তবে এই আশাভঙ্গ আর বিক্ষোভের চোরাস্রোতের মধ্যেই নিজের ভাইপো মনীষ তিওয়ারি ও ঘনিষ্ঠ অনুগামী আর্যেন্দর শর্মার জন্য নিরাপদ আসনের সংস্থান করেছেন কংগ্রেসর প্রবীণ নেতা নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি।
অবৈধ পিতৃত্বের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় এবার তাকে টিকিট দেয়নি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তবে গান্ধী-নেহেরু পরিবারের দীর্ঘদিনের বশংবদ হওয়ার কারণে উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে পুরোপুরি নিরাশ করেননি কংগ্রেস।
সব মিলিয়ে লড়াই আর পাল্টা লড়াইয়ে জমে গেছে উত্তরাখন্ডের বিধানসভা নির্বাচন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১২