কলকাতা: ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তী কমিউনিস্ট জননেতা কমরেড জ্যোতি বসুর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার।
২০১০ সালের ১৭ জানুযারি দীর্ঘ রোগভোগের পরে তিনি কলকাতার সল্টলেকের এমআরআই হাসপাতালে প্রয়াত হন।
ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘদিনের কমিউনিস্ট মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন যা বিশ্বের সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এক ইতিহাস।
বিলেত থেকে আইন নিয়ে পাস করে এসে তিনি আইনজীবীর পেশা গ্রহণ না করে লালমনিরহাটে চলে যান রেল শ্রমিকদের মধ্যে কমিউনিস্ট পার্টি গড়তে। অবিভক্ত ভারতের বাংলার প্রথম আইনসভার নির্বাচনে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।
১৯৬২ সালে তিনি সিপিএমে যোগদান করেন। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা। জীবনে একবারই ১৯৭২ সালে বরানগর কেন্দ্রে তিনি পরাস্ত হয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান কৃতজ্ঞচিত্রে স্মরণ করা হয়। গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তিতে তার প্রচেষ্টা অনস্বীকার্য।
রাজনীতি ক্ষেত্রে তিনি যে কত বড় পারদর্শী ছিলেন তা সিপিএম কর্মীরা এখন বুঝতে পারছেন। তার রাজ্য রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার ১০ বছরের মধ্যে দলকে বিধানসভা নির্বাচনে পরাস্ত হতে হল। তার যে বিশাল ব্যক্তিত্ব ও দূরদর্শীতা ছিল সেখানে কেউ পৌঁছাতেই পারেননি।
আগামী এপ্রিল মাসে কেরলের কোজিকোড়ে সিপিআইএম-এর ২০তম পার্টি কংগ্রেস। দলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রথম কোনো কংগ্রেস হচ্ছে যেখানে জ্যোতি বসু সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।
বাজার অর্থনীতির যুগে রাজনৈতিক পথ ঠিক করা এবং কংগ্রেস ও বিজেপির মতার্দশ সমর্থন না করে অন্য পথে যাওয়াকে দেশের মানুষ কতটা সমর্থন করবে সেটাও প্রশ্ন। জ্যোতি বসু উত্তরসূরিদের এটাই সবচেয়ে বড় সময় নিজেকে এবং জ্যোতি বসুর শিক্ষাকে প্রমাণ করার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১২