ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

চার দশক পর মতাদর্শগত দলিল জনসমক্ষে আনছে সিপিএম

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১২

কলকাতা: দীর্ঘ চার দশক পর প্রথমবার নিজেদের মতাদর্শগত অবস্থান ঠিক করতে মানুষের মতামত নিতে চলেছে সিপিএম। এ উদ্দেশ্যে এবার পলিটব্যুরোতে পেশ হওয়া মতাদর্শগত দলিল জনসমক্ষে আনছে সিপিএম।



সিপিএম সূত্রে জানা গেছে, কলকাতায় মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পরই নতুন মতাদর্শগত খসড়া দলিলটি জনসমক্ষে আনা হবে। খসড়াটি প্রকাশিত হবে সিপিএমের দলীয় ওয়েবসাইটে।

মতাদর্শের প্রশ্নে সিপিএমের অবস্থান কী হওয়া উচিত তা নিয়ে এবার মতামত জানাতে পারবেন ইচ্ছুক সাধারণ মানুষ।

নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর মতাদর্শগত অবস্থান ঠিক করতে এবারে দলীয় চৌহদ্দির বাইরে বেরিয়ে আসতে চলেছে দলটি।

দলের মতাদর্শগত দলিল চূড়ান্ত করার আগে আগ্রহী সব মানুষের মতামত নিতে চায় দলীয় নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটি।

এক মাসেরও বেশি সময় খসড়াটি ওয়েবসাইটে থাকবে। এরপর সাধরণ মানুষের পরামর্শ নিয়ে ফের বৈঠকে বসবে দল। তারপরই এপ্রিল মাসে পার্টি কংগ্রেসে মতাদর্শগত দলিলের খসড়াটি চূড়ান্ত করবে সিপিএম।

১৯৬৮ সালে প্রথম মতাদর্শগত দলিল তৈরি করে সিপিএম। সেই সময় সাধারণ মানুষের মতও জানতে চেয়েছিল দল। তার ৪৪ বছর পর এবারে ফের মূল মতাদর্শগত প্রশ্নে মানুষ দরবারে যাচ্ছে সিপিএম।

এদিকে এদিন থেকে কলকাতায় শুরু হয়েছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে এ বৈঠক সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়। ৪ দিন ব্যাপী চলবে এই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। এপ্রিল মাসে পলিটব্যুরোর যে বৈঠক হবে তার দলিল তৈরিই এর মূল উদ্দেশ্য। সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাতসহ পলিটব্যুরোর অন্যান্য সদস্যরা এতে উপস্থিত আছেন।

জাতীয় রাজনীতিতে সিপিএমের আদর্শগত অবস্থান কী হবে, তাও এতে আলোচনা করা হবে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কংগ্রেস ও বিজেপি কাউকে সমর্থন করবে না সিপিএম। তারা তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির পথে যেতে চান সে ব্যাপারে কথা হবে এই বৈঠকে।

পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার সিপিএম’র বিপর্যয়ের পরে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা। সেই লক্ষ্যেই এই বৈঠক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।