কলকাতা : ত্রিপুরার পালটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নতুন করে যৌথ উদ্যোগের কোনো সম্ভাবনা দেখছে না ওএনজিসি- ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগম। তবে এই কেন্দ্রে বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে ভারত সরকারের ওপর।
পালটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ দেখতে বুধবার তিনি ত্রিপুরায় আসছেন।
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়ে গেছেন সম্প্রতি ত্রিপুরা সফর করে যাওয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সেই সময় জানিয়েছিলেন, ত্রিপুরা সরকার এখান থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে রাজি আছে। কিন্তু বাংলাদেশে আরো বিদ্যুৎ পেতে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগ করতে চায়। এর ফলে উৎপাদন বাড়বে। সেই বিদ্যুৎ তারা কিনে নেবেন।
এই বিষয়ে সুধীর কুমার দুবে বলেছেন, এটা নির্ভর করবে সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। কিন্তু আমাদের এখন লক্ষ্য নির্মাণকাজ শেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা। জুলাই নাগাদ বাণিজ্যিকভাবে ৭২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। প্রথম ইউনিট থেকে আসবে ৩৬৩ ইউনিট। বাংলাদেশের বিনিয়োগ এলে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা প্রাকৃতিক গ্যাসের যোগান। গ্যাস মিলবে কিনা সেটাই প্রশ্ন, বিনিয়োগ নয়।
ঠিক একই রকম কথা বলেছেন রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের সিএমডি নীলাদ্রি শেখর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রস্তাব বিবেচনার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। কবে আশা কম। কারণ, গ্যাসের যোগান। এখন সেই সুযোগ নেই। তাহলে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ত্রিপুরা পালটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ত্রিপুরা পাওয়ার কোম্পানি ও ওএনজিসি’র শেয়ার ৫০ শতাংশ। ইন্ডাস্ট্রিয়াল লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস-এর শেয়ার ২৬ শতাংশ। ত্রিপুরা সরকারের শেয়ার ০ দশমিক ৫ শতাংশ। বাকি শেয়ার বাজার থেকে সংগ্রহ করা হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৩০৭ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১২