নয়াদিল্লি : উত্তর প্রদেশের নির্বাচনপর্ব মেটার আগেই বিপাকে পড়ল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার দলীয় সাংসদ তথা সাবেক ক্রিকেটার আজহারউদ্দিনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছে দিল্লির একটি আদালত।
একটি চেক বাউন্সের মামলায় বারবার হাজিরার নির্দেশ সত্ত্বেও সাবেক ভারতীয় এ অধিনায়ক তা অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে ওই পরোয়ানা জারি করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিক্রম বৈদ।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারিও আজহারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছিলেন ওই বিচারক। আজহারের আইনজীবী ওই দিন তার মক্কেলকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে রেহাইয়ের আর্জি জানিয়েছিলেন।
মোরাদবাদের কংগ্রেস এমপির আইনজীবী বৃহস্পতিবারও বলেন, আজহার উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোট প্রচারের কাজে ব্যস্ত। তাই তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে দিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকাকে ৭ মার্চ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কয়েক বছর আগে মুম্বইয়ের বাড়ি বিক্রির জন্য উদ্যোগ নেন আজহার। বাড়িটি রয়েছে তার এবং বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রী সঙ্গীতা বিজলানির নামে।
সঞ্জয় সোলাঙ্কি নামে দিল্লির এক ব্যবসায়ী সেটি কেনার জন্য দরদামও করে ফেলেন। বিক্রির জন্য দু’পক্ষের চুক্তিও হয়। দেড় কোটি রুপি অগ্রিম দেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু এরপরও দাম্পত্য কলহের কারণে বিক্রির সিদ্ধান্ত বদল করেন কংগ্রেস এমপি আজহার।
২০০৮ সালে টাকা ফেরতের জন্য দেড় কোটি রুপির একটি চেক দেন সঞ্জয়কে। কিন্তু ব্যাংক সেই চেক বাউন্স করে। পরের বছর আবার একটি চেক দেন আজহার। সেটাও বাউন্স হয়। ২০১০ সালে সঞ্জয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে আবার একটি চেক ইস্যু করেন কেন্দ্রের শাসকদলের সাংসদ। আবার বাউন্স হয় ওই চেক। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হন সঞ্জয়।
বাংলাদেশ সময় : ২০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১২