ঢাকা : সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী তেলনির্ভর ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পিকিং পাওয়ার প্লান্টের জন্য ২০১২ সাল নাগাদ প্রায় ২২ লাখ টন ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হবে।
এর মধ্যে ২০১০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ৫১ হাজার টন, ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৩ লাখ ২০ হাজার টন, জুলাই থেকে ডিসেম্বরে ৬ লাখ ৫০ হাজার টন এবং ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৭ লাখ ৫০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল আমদানী করতে হবে বলে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উদ্ধর্তন এক কর্মকর্তা জানান।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগে ফার্নেস অয়েল আমদানি বিষয়ক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি সচিব, বিপিসির চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ওই কর্মকর্তা জানান, চলতি বছরের যে পরিমাণ ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হবে তা আপাতত মজুদ হিসেবে রাখা হবে। কারণ চলতি বছর শেষ হতে আর মাত্র দুই মাস বাকি।
এই দুই মাসের মধ্যে ডিসেম্বর মাসে আসবে ফার্নেস অয়েল নির্ভর ভাড়াভিত্তিক দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এদুটি হচ্ছে- যশোরে নোয়াপাড়া ১১০ মেগাওয়াট ও বরিশাল ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই দুটি কেন্দ্রে মোট ২০ হাজার ৬১৫ টন ফার্নেস অয়েল লাগবে। এই পরিমাণ তেল সরবরাহ করা হবে ইস্টার্ন রিফাইনারি থেকে। বর্তমানে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টন ফার্নেস অয়েল উৎপাদন হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, ইস্টার্ন রিফাইনারির উৎপাদিত তেল সাধারণ খুলনা পাওয়ার কোম্পানীর (কেপিসি) নিয়ন্ত্রণাধীন দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়। ১১০ মেগাওয়াট ও ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি কেন্দ্রের উৎপাদন আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে কেপিসি জানিয়েছে চলতি বছরে এই কেন্দ্র দুটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চালু হলে ওই রিজার্ভ থেকে ফার্নেস অয়েল সরবরাহ করা হবে।
বর্তমানে দেশে ফার্নেস অয়েল রিজার্ভের ধারণক্ষমতা ৮৫ হাজার টন। আগামী বছর আরো ৩২ হাজার টন ধারণক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
উল্লেখ্য, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মিসর, চীন, মালদ্বীপ ও ফিলিপাইনের সঙ্গে তেল আমদানির বিষয়ে সরকারি পর্যায়ে চুক্তি রয়েছে। মুলত এসব দেশ থেকেই অতিরিক্ত জ্বালানি তেল আমদানী করা হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৯২৯, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১০।