ঢাকা: বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় বিনিয়োগ করতে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশকে অনুরোধ জানানো হবে। এজন্য বিনিয়োগ পরিকল্পনাকে পরিমার্জন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সচিবালয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি ও খাদ্য বিষয়ক স্থায়ী প্রতিনিধি আর্থারিন কাজিন সাক্ষৎকালে এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ জন্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন পদপে নেওয়া হয়েছে। অধিক জনসংখ্যা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এবং দারিদ্রতা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষি গবেষণায় জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্লোবাল এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি প্রোগ্রাম থেকে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ৫২ দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ডলার সহায়তা পেয়েছে। দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সহযোগিতা প্রত্যাশা করে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের সরকারি খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এজন্য উন্নয়ন সহযোগিদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকারি বিতরণ ব্যবস্থার আওতায় প্রতি বছর ২২ থেকে ২৫ লাখ মে.টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়।
এ সময়ে খাদ্য বিভাগের সচিব বরুণ দেব মিত্র, ইউএসএআইডি’র মিশন ডাইরেক্টর ডেনিস রোলিন্স এবং জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি এড স্পইকার্স উপস্থিত ছিলেন।