ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাটখাত বিকাশে সমন্বিত কার্যক্রম নিতে হবে: শিল্পমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
পাটখাত বিকাশে সমন্বিত কার্যক্রম নিতে হবে: শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, পাটখাত বিকাশের লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে প্রতি বছর জাতীয় পাট দিবস উদযাপিত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় গবেষণা ও যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় পাটখাতের যুগোপযোগীকরণ, সৃজনশীল প্রয়োগ এবং এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণের জন্য আমাদের সরকার নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

সোমবার (৬ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে ধারণ করে বহুদূর এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশের পাটপণ্য যাতে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয় সেলক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত গবেষণা ও উদ্ভাবন। পাটের উন্নত চাষাবাদ ও বহুমুখী ব্যবহারের জন্য আমাদের গবেষকরা কাজ করছেন। ভবিষ্যতে আরো ব্যাপক পরিসরে উন্নত গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে। মেধা ও মননের সমন্বয়ে আমরা নিশ্চয়ই নিত্যনতুন বিশ্বমানের বহুমাত্রিক সামগ্রী তৈরি করতে সক্ষম হব।

তিনি বলেন, বিশ্বে পাটের জন্যে আমাদেরর বাজার অনেক বড়। পরিবেশ আন্দোলন আমাদের সহায়ক হিসাবে কাজ করছে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ আন্দোলনে যেভাবে সহায়তা দিচ্ছে, সেখানে পাটকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আপনাদের (রফতানিকারকদের) যেতে হবে। পাটপণ্যের বহুমুখীকরণ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের চাহিদাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। পাটের মতো পরিবেশবান্ধব পণ্য আর নেই। আমাদের বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনের ফলে পাট বিষয়ক গবেষণা ও উন্নয়নের পথ সুগম  হয়েছে। আমার চাই, এখন গবেষণার মাধ্যমে পাটের আরও মূল্য সংযোজিত স্মার্ট পণ্য উৎপাদনের পথ সুগম হোক। এজন্য আমাদের পাটের গবেষকদের আরও আন্তরিক গবেষণা প্রত্যাশা করি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য-২০২৩’ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাটচাষি, পাটপণ্যের উৎপাদনকারী ব্যবসায়ী, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা, পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকারী, ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমি আশা করি, পাটখাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা এ খাতের সমৃদ্ধিকে আরও বেগবান করতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

যে কোন প্রয়োজনে রফতানিকারকদের জন্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রণালয়ের দরজা খোলা রয়েছে জানিয়ে পাটমন্ত্রী বলেন, রফতানিকারকদের জন্যে আমরা বসে আছি, আপনাদের সমস্যা দূর করার জন্যে। আমরা ১০০ ভাগ চেষ্টা করবো আপনাদের সমস্যা দূর করতে।

তিনি আরও বলেন, পাটের ব্যাগের ব্যবহার ঠিকমতো হচ্ছে না। পাটের ব্যাগ ব্যবহারে অভিযান আরও বেশি জোরদার করতে আমরা পাট অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছি।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটকে কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। আমি দাবি করতে চাই, পাটকে বহুমুখী কৃষিপণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হোক।

‘পাট শিল্পের অবদান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মাধ্য দিয়ে জাতীয় পাট দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও পাটপণ্যের  প্রর্দশনীর আয়োজন করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য এ বছর ১১ ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী, চাষি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পাট সংশ্লিষ্ট ৯ সংগঠনকেও সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

পাট দিবস উদযাপন ও পাটখাতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ব্যাক্তি/প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৩
এমকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।